Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
BJP

বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা, মারধরের নালিশ

পুলিশের কাছে অবশ্য এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি খন্দকার রেজাউল ইসলাম নামে ওই বিজেপি নেতা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:০৫
Share: Save:

বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদকের বাড়িতে হামলা এবং প্রকাশ্য বাজারে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মাড়গ্রাম থানার রাখাপাড়ায়। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছে, ওই বিজেপি নেতা চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা ও চাকরি ন-পেয়ে তাঁরাই রাগে বাড়িতে হামলা চালান এবং মারধর করেন।

পুলিশের কাছে অবশ্য এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি খন্দকার রেজাউল ইসলাম নামে ওই বিজেপি নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত দু’দিন আগে। শুক্রবার মাড়গ্রামে রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কিছু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। বিজেপি-র দাবি, ওই ঘটনার পর থেকেই রেজাউলের উপরে আক্রোশ পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। রেজাউলের অভিযোগ, রবিবার সকালে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী রাখাপাড়ায় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির সামনের গেট ভাঙচুর করে। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না রেজাউল। তাঁর স্ত্রীকেও গালিগালাজ করা হয়।

রেজাউল বলেন, ‘‘আগে আমি তৃণমূল করতাম। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যে সন্ত্রাস চালিয়েছিল, তা দেখে আমি বেশ কিছুদিন কোনও দল করিনি। লোকসভা ভোটের আগে বিজিপেতে যোগ দিই। গ্রামের অধিকাংশ সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল।

আমাকে দমাতে ওরা পরিকল্পনা করছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, এ দিন তাঁর বাড়িতে যখন হামলা হয়, তখন তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানেও ২০ - ২৫ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে গালিগালাজ করতে করতে করতে তাঁর উপরে চড়াও হয়। রেজাউলের দাবি, ‘‘আমাকে মাটিতে ফেলে পেটে, পিঠে ও হাতে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে হামলাকারীরা। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়, বিজেপি না ছাড়লে কপালে এর থেকে বেশি কষ্ট আছে। কোনও মতে উঠে বাড়ি ফিরে আসি।’’

পুলিশে কেন অভিযোগ করেননি, তার জবাবে রেজাউল বলেন, ‘‘প্রাণের ভয়েই অভিযোগ জানাতে থানায় যেতে পারছি না। তবে, মাড়গ্রাম থানায় ফোন করে মৌখিক ভাবে ঘটনা জানানোর পরে পুলিশ গ্রামে ও বাড়িতে এসে তদন্ত করে গেছে। সারা শরীরে যন্ত্রণা। চিকিৎসা করানোর পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’’

হামলা ও মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলমগীর শেখের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘চাকরি দেব বলে গ্রামের অনেকের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন রেজাউল। চাকরিও দিতে না পারায় এখন তাঁরা টাকা ফেরত চাইছেন। এই বিষয় নিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও হয়। পুজোর আগে টাকা ফেরত দেওয়া কথা থাকলেও টাকা না-দেওয়ায় এ দিন তাঁর বাড়িতে টাকা চাইতে গিয়েছিলেন অনেকে। তখন ঝামেলা হয়েছে।’’ আলমগীরের দাবি, টাকা ফেরত দিতে না-পেরে এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন রেজাউল। তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমার পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। টাকা নিলে তা ফেরতও দিতে হবে।’’

রেজাউলের দাবি, ‘‘চাকরি দেব বলে কারও কাছ থেকে আমি টাকা নিইনি।কোনও টাকা নিয়নি। আমার নামে তৃণমূল অপবাদ দিচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Minority Morcha TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE