মুরারই ১ ব্লক অফিসে, সোমবার। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণের ভয়ে বিডিও অফিসের গেটে ঝুলছে তালা। গেটের ভেতরে রাখা হয়েছে টিনের বাক্স। সেই বাক্সে জমা পড়ছে বিভিন্ন কাজের দরখাস্ত। সোমবার এমনই ছবি দেখা গেল মুরারই ১ ব্লকে। বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘অফিসের গেটে তালা থাকলেও কর্মী থেকে আধিকারিক সকলেই নিজ নিজ কাজ করছেন অফিসের মধ্যেই।’’
এলাকাবাসী জানান, এতে নানা কাজে আসা মানুষজন কিছুটা হলেও আশঙ্কায় কাজ কতটা হবে তা নিয়ে। ব্লক প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, কাজের গতি স্বাভাবিকই আছে। গেট টানা হয়েছে বলে কাজ থেমে নেই। সংক্রমণ ঠেকাতে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এরপরেও অনেকে আশ্বাস্থ হতে পারছে না। তাঁদের বক্তব্য, দেখা করতে পারছেন না আধিকারিকদের সঙ্গে। বিধবা ভাতা থেকে কন্যাশ্রী, আবাস যোজনার দরখাস্ত, রেশন কার্ডের সমস্যা সব কিছুই দরখাস্ত হিসেবে লিখে টিনের বাক্সে ঢুকিয়ে দিতে হচ্ছে। এর ফলে আবেদনকরী জানতেও পারছেন না তাঁর সমস্যার সমাধান কবে হবে।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘বার্ধক্য ভাতার টাকা দু’মাস ধরে ঢুকছে না। ব্লকে এসে জানতে পারলাম অফিসের ভেতরে ঢোকা যাবে না। অনেক কষ্ট করে এক জনের থেকে দরখাস্ত লিখিয়ে বাক্সে ঢুকিয়ে এলাম। জানি না এই সমস্যার সমাধান কবে হবে।’’ বাতাসী মাল বলেন, ‘‘বাড়ির খড়ের চাল থেকে জল পড়ছে। বিডিও অফিসে ত্রিপলের জন্য এসেছিলাম। অন্য বছর আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে দরখাস্ত দিলেই পাওয়া যেত ত্রিপল। আবার কবে আসব, কবে ত্রিপল পাব কিছুই বুঝতে পারছি না।’’
বিডিও বলেন, ‘‘বার বার বলার পরেও অনেকে মাস্ক ছাড়া অফিসে ঢুকে যাচ্ছেন। প্রত্যেক ঘরে দড়ি দিয়ে ঘেরা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। তবে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা গেটের কাছে থেকে মানুষ জনের সমস্যা শুনে আধিকারিকদের কাছে দরখাস্ত পৌঁছে দিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন। কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy