বিএলআরও অফিসের রাজস্ব আদায় কেন্দ্রের ঘর থেকে মিলল দুটি তাজা বোমা। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের অভিযোগ, পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় বন্ধ করার জন্য অসাধু কারবারীরা এই বোমা রেখেছিল। বুধবার সকালে রামপুরহাট– দুমকা রোডের উপর রামপুরহাট থানার ঝনঝনিয়া সেতু লাগোয়া বিএলআরও অফিসের অস্থায়ী রাজস্ব আদায় কেন্দ্রে র ওই বোমা মেলার ঘটনায় পুলিশ এলাকায় পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রামপুরহাট মহকুমা আধিকারিক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পাথর খাদানগুলিতে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। তবুও ঝাড়খণ্ড থেকে কিছু কারখানায় পাথর ভাঙা হচ্ছে। সেই পাথর সরকারি কোনও চালান ছাড়াই বিক্রি চলছে।”
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও অলোক দাসের দাবি, ‘‘মঙ্গলবার বিকালে রামপুরহাট থানার মনসুবা মোড়ে একটি পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে কর্মীদের মারধর করা হয়। গাড়ি চালকও পালটা কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেলেও আজ সকালে অস্থায়ী রাজস্ব আদায় কেন্দ্রের বোমা রেখে কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন নকল চালানের ব্যবসায়ীরা।’’
এ দিন রাজস্ব আদায় কেন্দ্রে বোম রাখা আছে এই খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগে বিএলআরও অফিসের কর্মীরা লাগোয়া কাঁদরের জলে বোমা দুটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য ফেলে দেয়।
বিএলআরও অফিসের কর্মী পরীক্ষিত মণ্ডল বলেন, ‘‘সকালে সাড়ে ছটা নাগাদ ঝনঝনিয়া সেতু লাগোয়া রাজস্ব আদায় কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে দেখি সাটার হালকা ভাবে নামানো। ড্রয়ার খুলতেই দেখি দুটি তাজা বোমা রাখা আছে। পরে বোমা দু’টি জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’
এসডিএলআরও-র অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নকল ডিসিআর এবং নকল ট্রানজিট চালান ব্যবহার করে পাথর বোঝাই গাড়িগুলি রাস্তায় চলাচল করছিল। বুধবার দুপুরে দুটি পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে নকল ডিসিআরও ট্রানজিট চালান ধরা পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান হয়েছে।
অলোক দাস বলেন, ‘‘বোমা রাখলেও নকল চালানের কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবেই।’’