ড্রামে বোমা। —নিজস্ব চিত্র
বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল নানুরের বালিগুণী গ্রামে।
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে, শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের শেখপাড়ার একটি ডোবার পাড় থেকে দু’টি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি প্রায় ৭০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। গোলাগুলি উদ্ধারের ঘটনা অবশ্য ওই গ্রামে নতুন নয়। একসময় গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের গোলাগুলির লড়াই লেগেই ছিল। সে সময়ও গ্রামে একাধিকবার বোমা উদ্ধার হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে ওই গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার সংঘাত শুরু হয়। গত মাসেই উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এক কাজল অনুগামীর বাড়িতে দু’টি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। গদাধর অনুগামীরাই ওই বোমা ছুড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
স্বাভাবিক ভাবেই এ দিনের বোমা উদ্ধার ঘিরে গ্রাম দখলের তত্ত্বই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গ্রাম দখলের উদ্দেশ্যেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওই বোমা মজুত করেছিল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনন্দ ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘বোমা– বন্দুকের রাজনীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়। বোমা উদ্ধারের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ।’’
পুলিশ জানায়, বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব ডিস্পোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারা কী কারণে বোমাগুলি মজুত করেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy