E-Paper

কমবে পথ, অজয়ে নতুন সেতু কি পুজোর আগেই

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাঁকসার রঘুনাথপুরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ১৬৫ কোটি টাকা খরচে অজয়ের উপরে নতুন সেতু তৈরি কথা ঘোষণা করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৪৬
অজয়ের উপর সেতুর কাজ প্রায় শেষ।

অজয়ের উপর সেতুর কাজ প্রায় শেষ। নিজস্ব চিত্র

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ও বীরভূমের জয়দেব আসার পথে সেতুর কাজ প্রায় শেষ। দুর্ভোগ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় দুই জেলার বাসিন্দারা। বীরভূম জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘বীরভূম প্রশাসন সহায়তা করছে। সেতু তৈরি হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে। যেটুকু জেনেছি, খুব সামান্য অংশের কাজই বাকি রয়েছে।’’

এক দিকে বীরভূমের জয়দেব কেঁদুলি ও অন্য দিকে পশ্চিম বর্ধমানের শিবপুর। মাঝে বয়ে গিয়েছে অজয়। বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের বহু মানুষকে নানা প্রযোজনে অজয় নদ পেরিয়ে যেতে হয়। ভুক্তভোগীরা জানচ্ছেন, বর্ষার চারটে মাস বাদ জল কমলে হিউম পাইপ দিয়ে মোরাম বোল্ডার দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয় বটে। কিন্তু বর্ষার শুরুতেই ওই রাস্তা ভেসে যায়। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। কিন্তু বর্ষায় অজয়ের ভায়ল রূপ উপেক্ষা করে নৌকা চালানোও সম্ভব হয় না। তাই অজয়ে জল বাড়লে ভোগান্তিও বাড়ে। বহুদিন থেকেই তাই ওই জায়গায় সেতুর দাবি ছিল।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাঁকসার রঘুনাথপুরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ১৬৫ কোটি টাকা খরচে অজয়ের উপরে নতুন সেতু তৈরি কথা ঘোষণা করেছিলেন। জমি জট-সহ নানা সমস্যা মিটিয়ে প্রায় সাড়ে ছ’বছর পর সেই সেতুর কাজই শেষ হয়েছে। এলাকায় গেলেই দেখা যাবে, অজয়ের উপরে সেতু ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। শেষ হয়েছে সে বীরভূমের দিক থেকে সেতুতে উঠার সংযোগকারী রাস্তাও। পশ্চিম বর্ধমানের দিক থেকে সেতু সংযোগকারী রাস্তার কাজ সামান্য কিছুটা বাকি। তবে পুজোর
আগেই সে কাজ শেষ হয়ে সেতু চালু হবে বলে আশাবাদী কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী
ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, ‘‘যেটুকু যা বাকি রয়েছে সেটা সম্পন্ন করে সম্ভবত দুর্গাপুজোর আগেই সেতু উদ্বোধন হয়ে যাবে।’’

এই সেতু হয়ে যাওয়ায় খুশি দু’পারের লোকজন। তাঁরা জানান, বীরভূমের এই অংশের মানুষ দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় যেতে অজয় পের হয়ে সহজ রাস্তাটাই ধরেন। অজয় লাগোয়া ওপারের মানুষও তাই করেন। কারণ ইলামবাজার হয়ে ঘুরে দুর্গাপুর মুচিপাড়া যেতে হলে কমপক্ষে ২৫ কিমি রাস্তা বেশি যেতে হয়। অজয়ের ওই অংশে সেতু তৈরি হওয়ার ফলে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তা ধরে শান্তিনিকেতন যাওয়ার দূরত্ব প্রায় ২২-২৫ কিলোমিটার কমে যাবে। এমনকী জেলা সদর সিউড়ি এবং দুবরাজপুর থেকে দুর্গাপুরের দূরত্ব একই রকম কমবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Birbhum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy