Advertisement
E-Paper

যুবতীর দেহ কবর থেকে ময়নাতদন্তে

প্রেমঘটিত কারণে তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সাজানের সন্দেহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২১ ০৫:৪০
রাজগ্রামের কবরস্থানে উপচানো ভিড়।

রাজগ্রামের কবরস্থানে উপচানো ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

খুনের অভিযোগ হওয়ার পরে মহকুমাশাসকের নির্দেশে কবর থেকে এক যুবতীর দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠাল মুরারই থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দিলেরা খাতুন (১৮)।

মৃতের আত্মীয়েরা জানান, গত ২৪ মে ভোরে দিলেরাকে তাঁর ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। কিন্তু, পুলিশকে তখন কিছু না জানিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ধরে নিয়ে পরিবারের লোকজন দিলেরার দেহ কবর দিয়ে দেন। পরেদিলেরার বাবার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ২৫ তারিখ মুরারই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরেই দিলেরার দেহ তোলার জন্য মহকুমাশাসকের (রামপুরহাট) কাছে আবেদন জানানো হয়। বুধবার তাঁর নির্দেশে মুরারই থানার ওসি এবং বিডিও (মুরারই ১)-এর উপস্থিতিতে রাজগ্রামের একটি কবরস্থান থেকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

মৃতের বাবা সাজান খান বুধবার বলেন, ‘‘ঘটনার রাতে বাড়ির বারান্দায় আমি ও আমার স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলাম। মেয়ে ঘরে ছিল। ভোরে ঘরে গিয়ে দেখি দিলেরা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। কিন্তু, তার পা মেঝেয় ঠেকানো ছিল। তখন থেকেই আমার সন্দেহ হয়, কেউ বোধহয় মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ পুলিশে জানাননি কেন? তাঁর দাবি, ‘‘মেয়ের মৃতুতে ভেঙে পড়েছিলাম। থানা-পুলিশে সমস্যায় পড়ব ভেবে মেয়েকে কবর দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলাম না।’’ তাই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছে বলে তিনি জানান। প্রেমঘটিত কারণে তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সাজানের সন্দেহ।

বিডিও প্রণব চট্টরাজ বলেন, ‘‘রামপুরহাট মহকুমাশাসকের নির্দেশে কবরস্থান থেকে ওই যুবতীর দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মুরারই থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হবে।’’

Postmortem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy