নানুরে নাবালিকা নিখোঁজ মামলার তদন্তের হাল দেখতে সন্তুষ্ট হতে পারল না কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার তাই ওই মামলার ভার সিআইডি-র ‘অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং ইউনিটে’র হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। মামলাকারীর আইনজীবী শম্পা সরকার বলেন, ‘‘বিচারপতির মনে হয়েছে এই পরিস্থিতিতে ‘অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং ইউনিট’ই ওই নাবালিকা নিখোঁজের তদন্ত করার পক্ষে উপযুক্ত। আগামী দু’সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন বিচারপতি সিআইডির স্পেশ্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে (অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং ইউনিট) উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন।’’ বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা ১৬ বছরের এক কিশোরী গত বছর ২৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় সিআইডি-র সাহায্য নিতে নানুর থানাকে নির্দেশ দেন। তা সত্ত্বেও মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়নি। মামলাটি এর পরে বিচারপতি বাগচীর এজলাসে যায়। গত ৬ অগস্ট আদালত সিআইডি-র স্পেশ্যাল সুপারকে নির্দেশ দেয়, তদন্তের অগ্রগতির যাবতীয় রিপোর্ট আদালতে জমা করতে। মামলার আগের শুনানিতেই তদন্তের হাল দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচী। রাজ্যের পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্ট পড়েই বিস্মিত বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, ‘‘নির্দেশ পেয়েও পুলিশ অফিসার ঠান্ডা ঘরে বসে থাকবেন? তদন্তকারী কি মুম্বইয়ে জুহু বিচ ঘুরতে গিয়েছিলেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy