অবৈধ কাঠমিল চালানোর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি।
অবৈধ কাঠমিল চালানোর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার অবশ্য দাবি, দলেরই একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ জয়ন্ত দাসের কাঠমিল রয়েছে বেলিয়াতোড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগে ওই কাঠমিলকে অবৈধ দাবি করে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারীদের দাবি, রাতের অন্ধকারে সেখানে কাঠ পাচারও করা হয়। অন্যের জায়গা দখল করে কাঠ ব্যবসা করা হচ্ছে বলেও ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাঁকুড়ার ডিএফও (উত্তর) উমর ইমাম বলেন, “বেলিয়াতোড়ে একটি কাঠমিল নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জয়ন্ত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ২০০৫ সাল থেকে ওই এলাকায় কাঠ মিল চালাচ্ছেন তিনি। প্রতি বছরই বন দফতরে নিয়ম মেনে মিলের লাইসেন্স নবীকরণ করান। অন্যের জমি দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন দফতর তদন্ত করতে চাইলে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
জয়ন্ত বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।” এই ঘটনার জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে তিনি বলেন, “দলেরই কিছু লোকজন বেলিয়াতোড় হাই স্কুলের জায়গা দখল করে ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথরের ব্যবসা করছিলেন। আমি স্কুলের জায়গায় ব্যবসা করার বিরোধিতা করেছি। তাতেই ওঁরা আমার বদনাম করতে এ সব করছেন।”
দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জয়ন্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এই দাবি মানেননি বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জয়ন্তর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠেছে বলে আমার জানা নেই। দলের কেউ ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বলেও শুনিনি। স্কুলের জমিতে এক ব্যক্তি নিজের বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী সাময়িক ভাবে রেখেছিলেন। অনেক দিন আগেই ওই ব্যক্তি স্কুলের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে জয়ন্ত কেন দলকে জড়াচ্ছেন, বোঝা যাচ্ছে না।” তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, “জয়ন্তর বিরুদ্ধে বন দফতরে কেউ অভিযোগ জানিয়ে থাকলে দফতর নিজের মতো তদন্ত করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy