Advertisement
E-Paper

বধূ খুনের অভিযোগ

বধূ খুনের অভিযোগ উঠল শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরে। বুধবার সকালে বাড়ির লাগোয়া পুকুর থেকে এক বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীলিমা কর্মকার (৩১)। বাড়ি শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৫

বধূ খুনের অভিযোগ উঠল শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরে। বুধবার সকালে বাড়ির লাগোয়া পুকুর থেকে এক বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীলিমা কর্মকার (৩১)। বাড়ি শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রামে। এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে, পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। তাঁরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বধূর বাপের বাড়ি অভিযোগ, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে নীলিমাকে। যদিও, রাত পর্যন্ত এই মর্মে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের কর্মকার বাড়ির গৃহবধূ নীলিমা কর্মকার মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন সকালে গ্রামের স্থানীয় পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। খবর যায় থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে, এ দিন দুপুরে বর্ধমানের অণ্ডাল থেকে রূপপুরে এসেছেন বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। মৃত বধূর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের অণ্ডালের দক্ষিণখন্ডের বাসিন্দা ধরমদাস কর্মকারের মেয়ে নীলিমা কর্মকারের সঙ্গে ১৯৯৯ সালে শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা নিবারণ কর্মকারের ছেলে হারাধন কর্মকারের সঙ্গে বিয়ে হয়। ওই দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে।

নীলিমাদেবীর ভাই ধনেশ্বর কর্মকারের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পরে থেকে টাকার জন্য চাপ দিত দিদির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বার কয়েক মারধরও করেছেন। ঝামেলা হওয়ায় বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন দিদিও। পরে কথাবার্তা বলে আবার ফেরানো হয়েছে রূপপুরের শ্বশুরবাড়িতে। দিন কয়েক আগে জামাইবাবু ব্যবসা করবে বলে ৬০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন দিদির শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এত টাকা দিতে পারব না জানিয়েছিলাম। সেই কারণে দিদিকে খুন করে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুকুরে দেহ ফেলে দিয়েছে।’’

তিনি দাবি করেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ জামাইবাবু হারাধন কর্মকার ও তার মা মুক্তাবালা কর্মকার এবং দুই দাদা শম্ভু কর্মকার ও সুবোধ কর্মকার খুন করেছে দিদিকে। আমরা এই মর্মে থানায় খুনের অভিযোগ জানাচ্ছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

বাজ পড়ে মৃত। দু’টি পৃথক ঘটনায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দু’জনের। বুধবার কালনার বোয়ালিয়া এবং বেলকুলি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা দিয়েছে, বেলা বারোটা নাগাদ মুষলধারায় বৃষ্টির মধ্যেই জমিতে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির কাজে যান কালনা ২ ব্লকের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিন ভাই। কিছুক্ষণ পরে দুই ভাই উঠে গেলেও কাজ করছিলেন উৎপল পাল। তখনই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় বছর পঞ্চাশের উৎপলবাবুর। ওই সময়েই কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের বেলকুলি গ্রামের পাথারের মাঠে ভাইঝি হিশিকে নিয়ে ছাগল চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন দুলালী বাস্কে। তুমুল বৃষ্টি নামায় মাঠের কাছাকছি একটি তেঁতুল গাছের তলায় দাঁড়ান তাঁরা। সেখানে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় বছর হিশির। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুলালী দেবী। এই পঞ্চায়েতেরই ছোট স্বরাজপুর গ্রামের প্রতিভা তালিতও বজ্রাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। বছর পঞ্চাশের এই মহিলাকেও ভর্তি করা হয়েছে মহকুমা হাসপাতালে।

Bride Murder Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy