শিশু শ্রমিকদের স্কুলমুখী করতে তাদের মাসে চারশো টাকা করে ভাতা দেওয়া চালু রয়েছে। কিন্তু নিয়ম থাকলেও নানা জটিলতায় পুরুলিয়া জেলার অনেকেই সেই ভাতা পাচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায় ভাতা না পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা হাজার ছয়েক। বকেয়া ভাতার পরিমাণ তিন কোটির কাছাকাছি। বাঁকুড়াতেও কয়েকজনের একই সমস্যা। শিশু দিবসের দিন, বৃহস্পতিবার খোঁজ করতে গিয়ে এমনই তথ্য মিলেছে।
পারিবারিক দারিদ্রের কারণে শিশুদের কাজে নামিয়ে দেওয়া হয়। শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কাজ থেকে ছাড়িয়ে ওই শিশু শ্রমিকের স্কুলে ভর্তি করানো হবে। সে জন্য তাদের ভাতা দেওয়া চালু করা হয়। কিন্তু ভাতা বন্ধ হওয়ায় সেই শিশু শ্রমিকদের স্কুলে ধরে রাখার সমস্যা হচ্ছে। পুরুলিয়া জেলায় জেলায় শিশু শ্রমিকদের স্কুল তথা স্পেশ্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সংখ্যা বর্তমানে ৮৯টি। স্কুলের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি বলরামপুর, বরাবাজার, জয়পুর, আড়শা, পাড়া, কাশীপুর প্রভৃতি ব্লকে। এই স্কুলগুলি পরিচালনা করে ‘ডিস্ট্রিক্ট ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রোজেক্ট’ বা জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্প। এই সংস্থার মাথায় আছেন জেলাশাসক। এ ছাড়া, শ্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা আছেন এই সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটিতে।
সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের ভাতা ঢোকার কথা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তা নিয়ে কয়েকজনের জটিলতা রয়েছে। তার উপরে এই জেলায় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের কাছ থেকে অর্থ না আসায় ভাতা দেওয়া ধাক্কা খাচ্ছে। বারবার কেন্দ্রের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কাছে পড়ুয়াদের বকেয়া ভাতা দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।