রাত পোহালেই বিয়ে হয়ে যেত বছর ষোলোর এক কিশোরীর। খবর পেয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে গ্রামে গিয়ে সেই বিয়ে রুখে দিলেন জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্থানীয় হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকার ইঁদপুর থানার ব্রজরাজপুর এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার রাতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীরা ইঁদপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুপুরে প্রথমে ওই কিশোরীর বাড়ি যান। বয়সের প্রমাণপত্র যাচাই করার পরে তার অভিভাবকদের বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। বাঁকুড়া জেলা চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সজল শীল জানান নির্দিষ্ট বয়সের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে ওই কিশোরীর বাবা মুচলেকা দিয়েছেন। ওই কিশোরীর নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পে নথিভুক্ত রয়েছে। তার বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, “আমি গরিব মানুষ। প্রায় পণে ভাল পাত্র পেয়েছিলাম বলে মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।” জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির পরেও অনেক অভিভাবকই ১৮ বছরের কম, তাঁদের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন। খবর পাওয়া মাত্রই সেই বিয়ে রুখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সচেতনতার যে এখনও অভাব রয়েছে তা এই ধরণের ঘটনা থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায়। আমরা প্রচারে আরও জোর দেওয়ার কথা ভাবছি।’’
বাজেয়াপ্ত লরি। চোরাই কয়লা বোঝাই একটি লরি বাজেয়াপ্ত করল জামুড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার রাতে চাঁদা মোড়ে তল্লাশি চালিয়ে লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। কয়লা পাচারের অভিযোগে শেখ ইরসাদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy