বৃষ্টিতে গরম কমে স্বস্তি ফিরল বাঁকুড়ায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়া শহর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টি না হলেও ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন অংশে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এ দিন বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনভর তীব্র গরমে নাজেহাল হল মানুষজন। তবে বিকেল হতেই বদলায় পরিস্থিতি। দু’দফায় এক মিলিমিটারের কিছু বেশি বৃষ্টি হয়েছে। একাধিক বার বাজ পড়ার আওয়াজও শোনা গিয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত বজ্রপাতে হতাহতের খবর নেই, জানায় জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর।
এ দিন কয়েক মিনিটের ঝড়ে বিপর্যস্ত হয় খাতড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়কের একাংশ। ওই সড়কের আঁকখুটা মোড় থেকে রানিবাঁধ বাজার পর্যন্ত অংশে প্রায় শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। ঝড়ের পাশাপাশি ছিল বৃষ্টি দাপটও। বৃষ্টি থামতে শুরু হয় ব্যাপক যানজট। স্থানীয় প্রশাসন, খাতড়া মহকুমার অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ কেটে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ চালান। প্রশাসন জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য অনেকটাই রাস্তা ফাঁকা করা গিয়েছে। রাতেও কাজ চলবে। তবে রাজ্য সড়ক পুরোপুরি ফাঁকা করতে আগামী দু’-তিন দিনও সময় লাগতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বৃষ্টি বা বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও মেলেনি। তবে সামগ্রিক রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে।”
ঝোড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে যান চলাচল ব্যাহত হয় পুরুলিয়াতেও। পুঞ্চার শুড়িডি গ্রামের রাস্তায় ডাল ভেঙে পড়ে এক বালিকার সামান্য আঘাত পায়। পরে পুলিশ রাস্তা থেকে দ্রুত ডাল সরিয়ে যাতায়াত চালু করে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)