শিক্ষক দেরিতে স্কুলে এসে আগে বাড়ি ফিরে যান, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির দ্বারস্থ হলেন অভিভাবকেরা। বুধবার তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতেও বাধা দেন। সিউড়ি দুই ব্লকের কুবিরপুর প্রাথমিক স্কুলের বুধবারের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি ২ ব্লকের ওই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ৭৪ জন। এক মহিলা টিআইসি-সহ তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। অভিভাবকদের ক্ষোভ অবশ্য এক জনের উপরেই। তিনি সহ শিক্ষক দেবদিত্য চন্দ্র। ২০১৪ সালে তিনি ওই স্কুলে যোগ দেন। অভিভাবদের অভিযোগ, এক দিন দু’দিন নয় প্রায় দু’বছর ধরে দেরিতে স্কুলে আসেন ওই শিক্ষক।
অভিভাবক বুদ্ধদেব মণ্ডল, সব্যসাচী ঘোষ, ঝন্টু বাগদি, দুঃখহরণ দাসের অভিযোগ, ‘‘একে উনি ইচ্ছে মতো স্কুলে আসেন। পড়ুয়াদের ঠিক মতো পড়ান না। আবার যখন খুশি বাড়ি চলে যান। এই নিয়ে স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ করেও ফল হয়নি।’’ অভিভাবকদের দাবি, এ দিনও দেবাদিত্য দেরিতে স্কুলে আসেন। এরপরেই তাঁকে স্কুলের খাতায় সই করতে বাধা দেন অভিভাবকেরা। কিছু পরেই ওই শিক্ষকের বাবা-মা উপস্থিত হন। দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দেবদিত্যর বাবা মাহদেব চন্দ্রের অভিযোগ, ‘‘ছেলে অসুস্থ। ওর চিকিৎসা চলছে। সেই কারণে স্কুলে আসতে সামান্য দেরি হলেও পড়ানোতে ওর কোনও খামতি নেই।’’ গ্রামের কিছু লোক ইচ্ছে করেই অপদস্থ করছে বলেও তাঁর দাবি।
অভিযোগ উ়ড়িয়ে দিয়েছেন অভিভাবকেরা। স্কুলের টিআইসি বা অন্য সহ শিক্ষক এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কথা বলেননি অভিযুক্ত শিক্ষকও। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রাজা ঘোষ অভিযোগের কথা মেনেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy