দুয়ারে ভোট। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, তাই রাস্তা সংস্কারের ঢল নেমেছে বাঁকুড়ায়।
নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বাসিন্দারা। প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে সেই কাজ আপাতত বন্ধ করে দিল প্রশাসন। মানবাজার ২ ব্লকের বোরো গ্রামের ঘটনা। মানবাজার ২ বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “রাস্তা সংস্কার নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই রাস্তা জেলা পরিষদ থেকে করানো হচ্ছে বলে অভিযোগের বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানিয়েছিলাম। আপাতত রাস্তাটি সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
বোরো গ্রামের কালীমেলার মোড় থেকে হরিমন্দির পর্যন্ত ৮০০ মিটার রাস্তায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। পুরুলিয়া জেলা পরিষদ থেকে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ৩২৮ মিটার রাস্তা ঢালাই ও ৪৭২ মিটার রাস্তা পিচ হওয়ার কথা। সম্প্রতি গ্রামের ১২২ জন বাসিন্দা রাস্তার কাজে নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিডিওকে লিখিত ভাবে জানান। তারপরেই জেলা পরিষদ ও ব্লক প্রশাসন রাস্তা পরিদর্শন করে। বোরো গ্রামের বাসিন্দা আনন্দময় মাহাতো, শঙ্কর দে, অনিল মাহাতোদের অভিযোগ, “ওই রাস্তাটি আমাদের গ্রামের প্রধান রাস্তা। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দাদের দাবি ছিল। সম্প্রতি ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি ওই কাজে মাটি মেশানো বালি ও অপেক্ষাকৃত কম দামের সিমেন্ট এবং নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঢালাইয়ের ঘনত্বও সব জায়গায় সমান নয়।” ঘটনাটি নজরে আসার পরেই গণস্বাক্ষর করে বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদ সদস্য সুমিতা সিংহমল্ল বলেন, “সভাধিপতির নির্দেশে আমি ওই কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পরীক্ষার পর মনে হয়েছে বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। সরঞ্জামের নমুনা সভাধিপতিকে দেখিয়েছি।” বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “কয়েকদিন আগে দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র গিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ পরীক্ষা করে গিয়েছেন। শুনেছি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তিনি কাজের মান বাড়াতে বলেছেন।” যদিও ঠিকাদার শিশুগোপাল চট্টোপাধ্যায় নিম্মমানের মালপত্র ব্যবহারের অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমি সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করছি। বাসিন্দাদের একাংশ আমার কাছে আর্থিক সুবিধা চেয়েছিলেন। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় এখন তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।” যদিও বাসিন্দারা ওই অভিযোগ মানেননি।
স্মরণসভা। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার লছিপুরে ধ্রুবলাল দেশমুখের স্মরণ অনুষ্ঠান হয়ে গেল সম্প্রতি। ধ্রুবলাল দেশমুখ স্মৃতি কমিটির পক্ষে মানবাজারের প্রাক্তন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল লায়েক বলেন, “অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে আমরা ধ্রুবলালবাবুর স্মরণ অনুষ্ঠান করছি। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার অভিনেতা, শিক্ষক ছিলেন। নানা গুণের অধিকারী এই মানুষটির ৯৬তম জন্মদিনে কমিটির পক্ষ থেকে প্রভাত ফেরি, তাঁর জীবনী আলোচনা, কবিতা সমগ্র পাঠ এবং দু’দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy