—প্রতীকী ছবি।
ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে বোলপুর শহরে। মঙ্গলবারও পে-লোডার নামিয়ে জামবুনি এলাকায় উচ্ছেদ হয়েছে। এ দিনই হকারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই কর্মসূচি থেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদের বক্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এ দিন বোলপুর মহকুমাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। মিল্টন রশিদ ছাড়াও কর্মসূচিতে ছিলেন মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি তপন সাহা, শহর সভাপতি কিঙ্কর সাহা। মিল্টন সেখানে বলেন, “দিকে দিকে উচ্ছেদের কারণে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রশাসনের জন্য আগামী দিনে সব বাড়িতে চুরি হবে। কারণ বেকারেরা যাবে কোথায়! বেকার ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, চুরি করতে হলে মহকুমাশাসক, আইসি, তৃণমূল কাউন্সিলর, প্রধান ও সদস্যের বাড়িতে চুরি করুন। কিন্তু, স্কুল বা সাধারণ মানুষের বাড়িতে দয়া করে চুরি করবেন না।” পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিল্টন বলেন, “হকারদের উচ্ছেদ করার আগে রাজনৈতিক দলের যে-সব নেতাকর্মী জায়গা দখল করে বসে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক, তার পরে উচ্ছেদ।’’
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রকাশ্যে এ ভাবে চুরি করার নিদান দেওয়া কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে শোভনীয় নয়।’’ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘উচ্ছেদের সঙ্গে চুরি বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা এটা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন, তাঁরা আসলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন! জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বাড়িতে চুরির যে নিদান দিয়েছেন উনি, সেটা ঠিক নয়। এতে ভুল বার্তা যাবে।’’ মন্ত্রী আরও জানান, সরকারি জায়গায় দখল করে তৃণমূলে যে দলীয় কার্যালয় ছিল, সেগুলি ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। যদি আরও কিছু থেকে যায় সেগুলিও ভেঙে ফেলা হবে। আগামী দিনে সরকারি জায়গা যেই দখল করে থাকুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy