কিসান মান্ডিতে এখনও কাশীপুরের অনেক ব্যবসায়ী বাজার সরিয়ে নিয়ে যাননি। উল্টে লোকালয়ের কাছে রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তাঁরা সব্জি নিয়ে বসছিলেন। সরস্বতী পুজোর দিন সেই ব্যবসায়ীদের সরাতে দলবল নিয়ে বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠল কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিধায়ক এ দিন জোর করে বাজার তুলে দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রশাসনের নির্দেশে কাশীপুর দৈনিক বাজার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া এলাকা থেকে সরে গিয়েছে কিসান মান্ডিতে। ওই মান্ডি পুরনো বাজার থেকে বেশ খানিকটা দূরে হওয়ায় সেখানে বাজার তেমন জমছে না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। এ দিকে, কাশীপুর রাজবাড়ির কাছে ইদানীং একটি ছোট বাজার গড়ে ওঠে। লোকালয় থেকে কাছাকাছি হওয়ায় এই বাজারে দিন দিন ভিড় বাড়ছিল। অভিযোগ, সরকারি জমির উপর আলাদা ভাবে বাজার বসানো যাবে না তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বাজারের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে সরকারি জমি ছেড়ে কিছুটা দূরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি জমিতে বাজার বসতে শুরু করে। আখেরে কিসান মান্ডির বাজারের ক্ষতি হচ্ছিল। তারই মধ্যে কয়েকদিন আগে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রাজবাড়ির সামনের বাজারের ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে পাততাড়ি গুটোতে বলেন। কাজ হয়নি।
অভিযোগ, এ দিন বিধায়ক নিজে গিয়ে জোর করে বাজার তুলে দেন। দলীয় কর্মীরাও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। যদিও বিধায়ক এই অভিযোগ মানেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মান্ডিতে ভাল পরিকাঠামো থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই সুবিধা। ব্যবসায়ীদের সেখানে বসতে বাধাও নেই। তা সত্ত্বেও অন্যত্র কেন বাজার বসানো হবে? ব্যবসায়ীদের বুঝিয়েছি। তাঁরা রাজি হয়েছেন। বলপ্রয়োগের অভিযোগ ঠিক না।’’
যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, ওই মান্ডিতে লোকে যাচ্ছে না বলেই লোকালয়ের কাছেই তাঁরা পসরা নিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক দলবল নিয়ে বলপ্রয়োগ করে মোটেই ঠিক কাজ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy