রামপুরহাট হাসপাতালে নার্সিং স্টাফ
ফের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে শনিবার এক যুবককে চিহ্নিত করা হল জেলায়। শুক্রবারই করোনাভাইরাসের লক্ষণ-সহ ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার যুবককে চিহ্নিত করা হয়। এ দিন তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতার নাইসেডে।
শুক্রবার ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার এক যুবককে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
ওই যুবককে পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য দফতর বেলেঘাটায় দেখিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারে বলে অভিযোগ। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। যুবককে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দিন ময়ূরেশ্বরের থানারই ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার বছর ছাব্বিশের এক যুবককের একই উপসর্গ ধরা পড়ে। ওই যুবক কেরলায় রাজমিস্ত্রির সঙ্গে জোগাড়ের কাজ করেন। দিন পাঁচেক আগে সর্দিকাশি উপর্সগ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ দিন তিনি চিকিৎসা করাতে যান স্থানীয় ষাটপলশা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তিনি ভুয়ো ঠিকানা দেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই কথা শুনে ওই যুবক চুপিচুপি বাড়ি চলে আসেন৷
ব্যাপারটি জানাজানি হতেই তার খোঁজখবর শুরু হয়। কিন্তু তাঁর দেওয়া ঠিকানায় তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান মেলে। ওই যুবকের দাবি, ‘‘ওই রকম সর্দিকাশি আমার মাঝে মধ্যেই হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা শুনলে সবাই এড়িয়ে চলবে বলেই চলে আসি।’’
ওই ঘটনাতেও স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতিই ফের প্রকট হয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কেন স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়ে তাঁকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালো না। ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা এনামূল হক অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রথমে ওই যুবক তাঁর রোগের উপসর্গ জানাননি। সেটা জানার পর যখন আমরা তাঁকে রামপুরহাটে ভর্তি করানোর কথা বলি তখন ও চলে যায়। ওই যুববকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সৌদি আরব থেকে ফেরা ময়ূরেশ্বরের যুবককে শুক্রবার রাতেই রামপুরহাট মেডিক্যালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য তৈরি পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডে ওই যুবককে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সমীরকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ওই যুবকের নাক-মুখ দিয়ে জল ঝরছিল। সঙ্গে হাঁচি ছিল। জ্বরের উপসর্গ ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার ভর্তি হওয়ার পরে যুবকটির দেহের নাকের ভিতর থেকে ও মুখের ভিতরে জিহ্বার শেষপ্রান্ত থেকে দু’ধরনের নির্যাস পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা কলকাতার নাইসেডে পাঠানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রোগীকে চারদিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy