Advertisement
E-Paper

করোনার সঙ্গে লড়াই, বেতন নেই চার মাস

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮টি ব্লক হাসপাতালে চুক্তির ভিত্তিতে সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত ওই সমস্ত কর্মীরা বিগত চার মাস তাদের বেতন পাচ্ছেন না। তার পরেও চিকিৎসকদের পাশে থেকে রাত দিন স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কোভিড পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ওঁরা। অফিস ঘরের টেবিল মোছা থেকে ঝাডু দেওয়া থেকে শুরু করে ফার্মাসিস্টকে ওষুধ দেওয়ার কাজে যেমন সহযোগিতা করতে হচ্ছে, তেমনই করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসক দের সঙ্গে করোনা আক্রান্ত এলাকায় পৌঁছে লালারস সংগ্রহ করার কাজে সহযোগিতাও করতে হচ্ছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮টি ব্লক হাসপাতালে চুক্তির ভিত্তিতে সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত ওই সমস্ত কর্মীরা বিগত চার মাস তাদের বেতন পাচ্ছেন না। তার পরেও চিকিৎসকদের পাশে থেকে রাত দিন স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সামনেই পুজো। তার আগে চার মাস বেতন না পেয়ে ওই সমস্ত কর্মীদের অসহায় অবস্থা। বর্তমানে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। প্রাপ্য বেতনের দাবিতে তাঁরা স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। তবুও বেতন নিয়ে জটিলতা কাটছে না বলে অভিযোগ।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই সমস্ত অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তিন বছর আগে এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাউসকিপিং পোষ্টে সংস্থার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ব্লকে দু’জন করে নিযুক্ত করা হয়। ওই সমস্ত কর্মীরা জানান অফিস ঘরের ঝাড়ু দেওয়া থেকে টেবিল মোছা থেকে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে তাঁদের কাজ করতে হয়। তাঁরা

মাসিক সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেলেও জুন মাস থেকে তা পাচ্ছেন না তাঁরা। এ ব্যাপারে ওই সংস্থা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বলা সত্ত্বেও সমস্যা মিটছে না।

ওই সমস্ত কর্মীরা বোলপুরের একটি সংস্থার মাধ্যমে বেতন পেয়ে থাকেন। ওই সংস্থার মালিক মানস পাল বলেন, ‘‘রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্য্যালয় থেকে কর্মীদের টাকা দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সিএমওএইচ অফিস থেকে টাকা পেয়েছি। তারপর থেকে কোনো টাকা পাইনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সিএমওএইচ অফিস থেকে টাকা না পেলেও কর্মীদের মে মাস পর্যন্ত টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়েছি। বাকি টাকা না পেলে আমাদের পক্ষে মুশকিল।’’

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় কর্মীরা তাদের

বকেয়া টাকা খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবেন। জেলার বাসিন্দা, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই কর্মীদের প্রাপ্য টাকা পাওয়া উচিত। কর্মীরা যাতে বেতন পান সে জন্য সিএমওএইচ-কে বলা হয়েছে।

Corona COVID-19 Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy