Advertisement
E-Paper

জমিতে জমে জল, চিন্তায় চাষিরা

ক্ষতি হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফসলেরও। সোনামুখীর কালীপদ গড়াই, বেলুটের শ্রীকান্ত দিগের জানান, মাচাতে লাগানো শশা, ঝিঙে, করলার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০২:০৩
মঙ্গলবারও বৃষ্টিতে ভিজল বিষ্ণুপুর। বাজারে বেরিয়ে ব্যাগ মাথায় এক বাসিন্দা। ছবি: শুভ্র মিত্র

মঙ্গলবারও বৃষ্টিতে ভিজল বিষ্ণুপুর। বাজারে বেরিয়ে ব্যাগ মাথায় এক বাসিন্দা। ছবি: শুভ্র মিত্র

ঝড়ের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে শিলাও। তার জেরে সোমবার বিকেলের পরে, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় আনাজের সঙ্গে ধানের ক্ষতি হয়েছে। বড়জোড়া, পাত্রসায়র, ছাতনা, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া থানা এলাকায় চেয়ে থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মিনিকিট ধানের। এ ছাড়া, খাতড়া মহকুমা এলাকায় তরমুজেরও ক্ষতি হয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলা কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘‘জেলায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ৫৫ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি এবং শিলা পড়ায় ছত্রাকঘটিত রোগ হতে পারে
আনাজ চাষে।

সোনামুখীর নন্দমোহনপুর, তেলরুই, নবাসন, বারুইবেড়া প্রভৃতি গ্রামে ধানের ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় চাষী নিতাই গড়াই, বাবলু মণ্ডলের দাবি, ‘‘অল্প দিনে বেশি লাভ পাওয়া যায় মিনিকিট ধানে। গত বছর ভালই চাষ হয়েছিল। কিন্তু এ বার শিলা বৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। ফলন অর্ধেক হয়ে যাবে।’’ পাত্রসায়রের বাপন পাল জানান, আর কয়েকদিন পরেই ধান তুলতেন। তার আগেই সোমবারের শিলা বৃষ্টিতে বিঘার পরে বিঘার ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ক্ষতি হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফসলেরও। সোনামুখীর কালীপদ গড়াই, বেলুটের শ্রীকান্ত দিগের জানান, মাচাতে লাগানো শশা, ঝিঙে, করলার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়-জলেব মাচা ভেঙে পড়েছে। গোড়া পচা রোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘জমিতে জল জমে থাকলেও বার করা যাচ্ছে না। কারণ, এখানে জমির পাশে নালা নেই। ফলে, অন্যের জমিতে জল বার করার উপায় নেই।’’

সোমবার রাতে দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া, রানিবাঁধ, রাইপুর, হিড়বাঁধ, ইঁদপুর, সারেঙ্গা ও তালড্যাংরা প্রমুখ ব্লকেও ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আনাজের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তরমুজের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। খাতড়া ২ পঞ্চায়েতের বড়মেট্যালা গ্রামের গুরুপদ রজক বলেন, ‘‘তিন বিঘা জমিতে তরমুজ রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি ও সেই সঙ্গে শিল পড়ায় তরমুজের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নালা কেটে জমি থেকে জল বার করা হচ্ছে।’’

বৃষ্টিতে আনাজের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকায়। ঝালদার পুস্তি পঞ্চায়েত এলাকায় আনাজের চাষ হয়। ওই এলাকার চাষি সুভাষ মাহাতো, রতন মাহাতোদের দাবি, ‘‘কয়েকদিন আগেই শিলাবৃষ্টিতে আনাজের ক্ষতি হয়েছিল। এ বার বৃষ্টিতে ক্ষতি আরও বাড়ল। চাষিরা জানাচ্ছেন, এখনও মাঠে লাউ, কুমড়ো, বেগুন, শশার মতো আনাজ আছে। বৃষ্টিতে সে সবের ক্ষতি হয়েছে।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy