ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র বাদ দিয়ে অন্য ক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালীন কোনও রকম সভা, সেমিনার, কনফারেন্স করা যাবে না। এমনকি অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রেও সভা করতে হলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সর্বাধিক দশ জনকে নিয়ে করা যেতে পারে। কিন্তু, সেই নির্দেশিকা উড়িয়ে বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ ও অন্য আধিকারিকদের নিয়ে লকডাউনের মাঝেই দ্বিতীয়বার সভা করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
কেন এমন হল জানতে চেয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিককে ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। তবে বিশ্বভারতীর একটি সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন সহ অন্য কাজ কী ভাবে চলবে, তথা সামগ্রিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ করতে ৪ মে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স রুমে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ এবং অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সব মিলিয়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জনের বেশি। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রের অন্তর্ভূক্ত নয়। তাই সেখানে কোনও বৈঠক বা কনফারেন্স আয়োজন করার অনুমতি নেই। তা জানার পরেও বিশ্বভারতীর এই বৈঠকের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করছেন, সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে এমন বৈঠক আরও একটি হঠকারিতা।’’
কয়েক দিন আগে প্রথম বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল বিনয়ভবন-এর অধ্যক্ষকে। এ দিনের দ্বিতীয় বৈঠকের পরে আবার তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না, সে নিয়েও জল্পনা চলছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। যদিও পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নীরব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy