‘লকডাউন’-এ খেলার মাঠে যাওয়া দূরের কথা, বাড়ির বাইরে পা রাখার উপায় নেই ছোটদের। এই পরিস্থিতিতে ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের হাতে চকোলেট, কেক কিংবা বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন ঝালদা শহরের এক যুবক।
পেশায় হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটর ডোমপাড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের সুকুমার দত্ত বৃহস্পতিবার থেকে ওই কাজে নেমেছেন।
তাঁর কথায়, ‘‘যা পরিস্থিতি তাতে ধমকধামক দিয়ে জোর করে ছোটদের ঘরে আটকে রাখা সম্ভব নয়। ওদের আটকাতে গেলে হাতে পছন্দের কিছু একটা দিয়ে বোঝাতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে চকোলেট, কেক, বিস্কুট দিচ্ছি।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন জানান, বিকেল হলেই চকোলেট, কেক, বিস্কুটের প্যাকেট ভর্তি থলে নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন ওই যুবক। যাচ্ছেন শহরের বস্তি এলাকা বলে পরিচিত ডোমপাড়া, মাছোয়ারপাড়ার মতো এলাকায়। ইতিমধ্যে শিশুদের কাছে তিনি ‘চকোলেট কাকু’ নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
সুকুমার অবশ্য তাদের সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, যারা ঘরে থাকবে, তারাই কিন্তু পাবে। বাইরে ঘোরাঘুরি করলে পরের দিন থেকে নাম বাদ চলে যাবে।
এতে কাজ পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশে ফল মিলেছে বলে দাবি করছেন শিশুদের অভিভাবকেরা। সুকুমার চাইছেন, যাঁদের মোটামুটি সামর্থ আছে, তাঁরাও নিজেদের মতো করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন। তবেই মোকাবিলা করার কাজটা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
স্থানীয় রানা চন্দ্র, বসন্ত কুমার দত্তেরা বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতিতে এ ভাবেই সকলের এগিয়ে আসা উচিত। তাতে কাজটা আরও সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে করা যাবে।’’ ওই এলাকার বাসিন্দা তথা ঝালদার পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘ওই যুবকের মতো অন্যেরাও শিশুদের জন্য এগিয়ে এলে ভাল হয়।’’
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।