বিডিও-কে অফিসে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিডিওকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিলেন সমিতির ১৫ জন তৃণমূল সদস্য। নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। পরে বিডিওকে ঢুকতে দেওয়া হলেও আন্দোলনরত সদস্যদের বিডিও-র দরজার সামনে বেঞ্চ লাগিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকতে দেখা যায়।
নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির ওই ১৫ জন সদস্যের মধ্যে এক জন তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত হলেও বাকিরা কেউ কংগ্রেস ছেড়ে, কেউ সিপিএম ছেড়ে এসেছেন। সম্প্রতি ওই ১৫ জন সদস্য অনাস্থায় সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ মালকে অপসারণ করেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও বিডিও-র কাজে বাধা কেন?
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া নিতে তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোর্তাজা আলি, রাজেন্দ্র মহলদার-সহ আন্দোলনে থাকা সদস্যদের অভিযোগ, ‘‘বিডিও এবং অফিসের এক শ্রেণির কর্মীদের মদতে পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় কাজে অনিয়ম হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টেন্ডারটুকুও ডাকা হচ্ছে না। বিডিও সব জেনেও কিছু করছে না। তাই এই বিক্ষোভ।’’
নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও কিংশুক রায় অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা আমাকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছে এ কথা সত্যি। তাঁদের আচরণে খারাপও লেগেছে। কিন্তু, আলোচনার বিষয়টি মিটে যায়। সে কারণে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” পঞ্চায়েত সমিতির দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি সিপিএম পরিচালিত নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy