Advertisement
E-Paper

এ বার সিপিএম কর্মীদের মার, নালিশ পাত্রসায়রে

ভোটের আগে ফের তেতে উঠছে পাত্রসায়র ও ইন্দাস এলাকা। এতদিন সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, পোড়ানোর অভিযোগ উঠছিল। এ বার সিপিএমের এক নেতা-সহ তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার নারায়ণপুর ও ধগড়িয়া এলাকার ঘটনা। এরই পাশাপাশি ইন্দাসের আকুই গ্রামে সিপিএমের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৭

ভোটের আগে ফের তেতে উঠছে পাত্রসায়র ও ইন্দাস এলাকা। এতদিন সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, পোড়ানোর অভিযোগ উঠছিল। এ বার সিপিএমের এক নেতা-সহ তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার নারায়ণপুর ও ধগড়িয়া এলাকার ঘটনা। এরই পাশাপাশি ইন্দাসের আকুই গ্রামে সিপিএমের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।

সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা কমিটির সদস্য লালমোহন গোস্বামীর অভিযোগ, “মঙ্গলবার সকালে নারায়ণপুরে বাজার করতে গিয়েছিলেন দলের লোকাল কমিটির সদস্য সাধন বাগদি। বাজার করে ফেরার পথে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী তাঁকে আটকে মারধর করে। ভোটের দিন ঘর থেকে বের হলে হাত পা কেটে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে ধগড়িয়া রেল স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার পথে দলের সক্রিয় কর্মী শিমুলডাঙা গ্রামের গুণময় মাঝি ও মুক্তপুর গ্রামের অসিত রায়কে মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা।” তাঁর দাবি, নিরপেক্ষ ভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে তৃণমূল হারবে। তাই ভোটের আগে এলাকায় চূড়ান্ত সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁর অভিযোগ, পাত্রসায়র থানার পুলিশ এখন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। ইন্দাসের সিপিএম প্রার্থী দিলীপ মালিকের সমর্থনে আকুই গ্রামের দক্ষিণ পাড়া গ্রাম সংসদের একটি বাড়ির দেওয়াল লিখন তৃণমূলের লোকেরা সোমবার রাতে মুছে দিয়েছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “সিপিএমের এখন পায়ের তলায় মাটি নেই। প্রচারে লোক পাচ্ছে না। তাই যত রকম ভাবে পারছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ভোটের ময়দানকে সরগরম করতে চাইছে।” নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লিখিত ভাবে যে সব অভিযোগ জমা পড়ছে সেগুলির তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Patrasayer beaten cpm
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy