পূর্ত দফতরের বিজ্ঞপ্তি
সংস্কারের আট মাসের মধ্যেই ফের ফাটল দেখা দিল ইলামবাজারের অজয়ের সেতুতে।
পরিস্থিতি দেখে বুধবার সন্ধ্যা থেকে পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কের ইলামবাজারের কাছে যান নিয়ন্ত্রণ করেছে বোলপুর পুলিশ। শুধু তাই নয়, সেতুর উপর দিয়ে চলা সব গাড়ির গতি কমানোর জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে পূর্ত ও সড়ক দফতর। এই অবস্থায় সব ভারী গাড়ি বৃহস্পতিবার থেকে বোলপুরের এনএইচ ২ বি-এর উপর দিয়ে চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে, ওই রাস্তা ব্যবহারকারী গাড়ির মালিক এবং চালকদের দাবি, দ্রুত সেতু সংস্কার করা হোক। তাঁদের বক্তব্য, তাতে যান নিয়ন্ত্রণের জেরে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। রাস্তার মানও খারাপ। পূর্ত ও সড়ক দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও টেকনিক্যাল কমিটির নজরে আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’’
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ১৯৬২ সালের ১৭ জুন অজয়ের উপরে এই সেতুর উদ্বোধন করেন। বীরভূম-সহ আশপাশের কয়েক’টা জেলা এবং একাধিক রাজ্যের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরনো এই সেতু দিয়ে দিনে কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে।
অজয়ের সেতুতে চিড়
প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, ওই সেতুতে চলাচল বাবদ দৈনিক প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা সরকারের ঘরে জমা দিতে হয়। ওই সেতুর উপরে আকছার সংস্কারের কাজ চলে। ফলে প্রায়ই দুর্ভোগে প়়ড়তে হয়। তাতে সেতু ব্যবহারকারীদের যেমন হেনস্থা হতে হচ্ছে, তেমনই ক্ষতির মুখে পড়ছে ঠিকাদার সংস্থাও। অবিলম্বে ওই সেতুতে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে স্বাভাবিক করে তোলার দাবি জোরালো হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ওই সংস্থার পক্ষে চাঁদ মণ্ডল জানান, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু সংস্কারের জন্য দিন পনেরো কোনও গাড়ি চলাচল করেনি। তাতে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সেতুতে ফাটলের কথা নজরে আসতে বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। যান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইলামবাজার থানাকে নির্দেশ দেন। তারপরেই এ দিন সকালে সেতুতে সড়ক ও পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তিও। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘দুর্বল সেতু। ছোট ও হালকা যানবাহন ব্যতীত সমস্ত রকম ভারী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। গতি বেগ সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার।’’ পূর্ত ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকারের তরফে ওই নির্দেশ জারি হয়।
নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy