Advertisement
E-Paper

ঝালদার নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার ‘রহস্যমৃত্যু’! ময়নাতদন্ত হবে দেহের

২০২২ সালের ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। পরে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল পূর্ণিমাকে। তিনি জয়ী হন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৪
Purnima Kandu

(বাঁ দিকে) পূর্ণিমা কান্দু। তপন কান্দু (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

স্বামী খুন হওয়ার পর ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। পুরুলিয়ার ঝালদায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার মৃত্যু হল আকস্মিক ভাবে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ছিলেন ঝালদা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা। সন্তানেরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে মাকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পূর্ণিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুরভোটের পরে ২০২২ সালের ১৩ মার্চ সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায় গোকুলনগরের অদূরে রাস্তার উপরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তপন। ঘটনার পরে জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্তে নামে। সিট প্রথমেই গ্রেফতার করে তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে। তিনি পুরভোটে তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তার পরে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের বোকারোর গাইছাঁদ গ্রাম থেকে কলেবর সিংহকে গ্রেফতার করে সিট। দীপকের বাবা তথা তপনের দাদা নরেন কান্দু ও ঝালদারই কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আশিক খান গ্রেফতার হন। ওই হত্যাকাণ্ডে সিট ও সিবিআই এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া বাকি দু’জন হল সুপারি কিলার অভিযোগে ধৃত জাবির আনসারি ও শশিভূষণ সিংহ। ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তবে মামলা এখনও বিচারাধীন। তার মধ্যে পূর্ণিমার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।

পরিবারের দাবি, পূর্ণিমা অসুস্থ ছিলেন না। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, নবমীর সন্ধ্যায় ছেলে এবং মেয়ে পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন পূর্ণিমা। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ সন্তানেরা বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন মা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে পূর্ণিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝালদা-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পূর্ণিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁদের বাড়িতে যান পুরুলিয়া জেলার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো-সহ দলীয় নেতৃত্ব। নেপাল বলেন, ‘‘কী কারণে মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্ত-না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফলে সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ ঝালদা থানার আইসি পার্থসারথি ঘোষ-সহ পুলিশ আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে যান। তবে পুলিশের তরফে এখনও সরকারি ভাবে বিবৃতি মেলেনি।

Tapan Kandu Congress Jhalda Municipality purulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy