এলাকার সবেধন নীলমণি একটি মাত্র কমিউনিটি হল। কিন্তু বড়জোড়া ব্লক অফিসের সেই কমিউনিটি হলের পরিকাঠামো এমনটাই, মঞ্চে তাবড় গায়ক গান ধরুলে প্রতিধ্বনির চোটে সমস্ত সুর তালগোল পাকিয়ে যায়। কান খাড়া করে থেকেও বোঝা যায় না নাটকের সংলাপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই ধরনের সমস্যার তালিকা আরও দীর্ঘ। অবিলম্বে কমিউনিটি হলটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই দাবিতে স্মারকলিপিও জমা পড়েছে বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতি এবং বি়ডিও (বড়জোড়া)-র দফতরে।
ব্লক অফিসের কমিউনিটি হলে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে এলাকার এমন কয়েকটি গোষ্ঠীর সদস্যদের দাবি, মঞ্চটি বড় মাপের কোনও অনুষ্ঠানের উপযুক্তই নয়। নির্মাণে পরিকল্পনার অভাবের জন্য প্রতিধ্বনির বাড়াবাড়ি হয়। বাতাস চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। দর্শক বেশি থাকলে হলের ভিতর খুব গুমোট হয়ে ওঠে। বাইরের হালও প্রায় এক। সামনে গাড়ি রাখার জায়গা আগাছায় ভরে গিয়েছে। বড়জোড়ার শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবপ্রচার সঙ্ঘের সম্পাদক সমীরকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘বাতাস না ঢোকায় এমন অস্বস্তিকর পরিবেশ হয় যে অনেকেই থাকতে না পেরে অনুষ্ঠান চলাকালীন বেরিয়ে যান। অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার নজিরও রয়েছে।’’ বছর দশেক আগে তৈরি হওয়া হলটি সংস্কারের পাশাপাশি সেটির সৌন্দর্যায়নের দাবিও তুলেছেন বড়জোড়ার বাসিন্দারা। বড়জোড়া ব্লক ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাঞ্চন বিদে বলেন, ‘‘হলের বাইরে একটা ডোবা রয়েছে। সেটিও সংস্কার করে সৌন্দর্যায়ন করা জরুরি।’’
ব্লক অফিসের কমিউনিটি হলে নিয়মিত সরকারি অনুষ্ঠান হয়। ফলে সমস্যার কথা যে প্রশাসনের অজানা তা-ও নয়। বিডিও (বড়জোড়া) পঙ্কজকুমার আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও আলোচনা চলছে।’’ হল সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল পোড়েল। তিনি বলেন, ‘‘জেলা সভাধিপতি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সংস্কারের জন্য কত ব্যয় হতে পারে সেই হিসাব করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আসার কথা রয়েছে।’’ একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর এবং হল লাগোয়া এলাকা পরিষ্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন কবিতাদেবী।