ট্রেন না চালানোয় আর কত দিন বেকার থাকব— এই প্রশ্ন তুলে বিষ্ণুপুর রেল স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন টোটো-অটো সহ বিভিন্ন ছোট গাড়ির চালক এবং রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। বুধবার বিষ্ণুপুর রেল স্টেশনের সামনে অরাজনৈতিক ভাবে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ দেখালেন। অবিলম্বে ট্রেন চালু করার দাবিতে বাঁকুড়া রেল স্টেশনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূলও।
বুধবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চালু হলেও আদ্রা ডিভিশনে এখনই তা চালু করা হচ্ছে না বলে রেল জানিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ট্রেনের নিত্যযাত্রী থেকে রেলের উপরে নির্ভরশীল বিভিন্ন পেশার মানুষজন। বিষ্ণুপুরের বিক্ষোভে যোগ দেওয়া টোটো চালক অজয় আঁশ, অটো চালক রাজকুমার গড়াই, ছোট গাড়ি চালক অভিষেক চৌধুরীরা বলেন, “রেলের যাত্রীদের পরিবহণ করেই আমাদের রোজগার হয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় রোজগারহীন হয়ে পড়েছি। যদি রাজ্যের অন্যত্র ট্রেন চালানো যায়, তাহলে আদ্রা ডিভিশনে কী এমন সমস্যা রয়েছে, তা জানতে চাই।”
বিষ্ণুপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বহু মানুষ স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, হোটেল, মিষ্টির দোকান তৈরি করে ব্যবসা করেন। হোটেল ব্যবসায়ী বাসুদেব দত্ত বলেন, “আমি খাবারের হোটেল চালাই। ট্রেন চালু থাকলে দৈনিক অন্তত পাঁচশো টাকা রোজগার হয়। কিন্তু ট্রেন না চলায় মার্চ মাস থেকে হোটেল বন্ধ রেখেছি।” বিষ্ণুপুরের বিক্ষোভে উপস্থিত রাজীবকান্তি রায় বলেন, “প্রায়ই নানা কাজে বাইরে যেতে হয়। তাই এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি।” বিষ্ণুপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার চন্দ্রশেখর দত্ত বলেন, “বিক্ষোভকারীদের স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”