হস্টেলে জলের সমস্যায় জেরবার ছাত্রীরা এ বার পথে নামলেন। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকার অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের একটি হস্টেলের ওই ছাত্রীরা পাঁচবাগায় প্রথমে ওই দফতরের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ তুলে, পাঁচবাগায় কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন।
ওই হস্টেলের দু’টি ভবনে ২২টি ঘর রয়েছে। সেখানে ১৩০ জনের থাকার জায়গা রয়েছে। বাঁকুড়া জেলা ও আশপাশের অন্য জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছাত্রীরা ওই হস্টেলে এসে থাকেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় আড়াই মাস ধরে হস্টেলের সাবমার্সিবল পাম্পটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যার জেরে হস্টেলে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। হস্টেলের মধ্যে পুরসভার টাইমকল রয়েছে। তবে শুধু সকালেই সেই কলে জল আসে। তাতে কেবল রান্নার কাজই চলে। হস্টেলের ভিতরে দু’টি টিউবওয়েল রয়েছে। তার একটি খারাপ, অন্যটির জল পানের অযোগ্য। তাই ওই টিউবওয়েলের জলে শুধু স্নান-কাচাকাচির কাজ করা হয়।
ছাত্রীদের মধ্যে স্বাতী মণ্ডল, মঞ্জুশ্রী বেসড়া, সুধা মণ্ডলেরা বলেন, “খুব সমস্যায় পড়েছি। রান্নার জল নেওয়ার পরে টাইমকল থেকে যেটুকু জল মিলছে, তা সংগ্রহ করে রেখে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে খেতে হচ্ছে। আড়াই মাস ধরে এই সমস্যার সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে আমাদের।’’
একই সঙ্গে আরও কিছু সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন ছাত্রীরা। আন্দোলনকারীদের কথায়, হস্টেলের রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো নেই। রাতে রান্না করতে অসুবিধা হয় রাঁধুনির। ডাইনিংহলে যথেষ্ট চেয়ার-টেবিলও নেই। খেতে গিয়ে অনেককেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অবিলম্বে হস্টেলের পরিকাঠামোগত এই সব সমস্যা
মেটানোর দাবি তুলেছেন ছাত্রীরা। জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিতেন্দু পাল অবশ্য কোনও অভিযোগ নিয়েই মন্তব্য করতে চাননি। তবে ছাত্রীদের বিক্ষোভে দফতরে নড়াচড়া শুরু হয়েছে। এ দিন দুপুরেই হস্টেলের বিকল টিউবওয়েলটি মেরামতি করা হয়। শীঘ্রই সাবমার্সিবল সারানোরও আশ্বাস মিলেছে বলে ছাত্রীরা জানিয়েছেন।