দুবরাজপুর পুলিশ স্টেশনে কালী পুজো। ছবি সংগৃহীত।
প্রতি অমাবস্যায় কালীপুজো হয় দুবাজপুর থানায়। পুজোপাঠ সেরে আয়োজন থাকে খিচুড়ি প্রসাদের। সব পুলিশকর্মী এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। তবে, বৃহস্পতিবার পৌষ অমবস্যায় কালীপুজোর জাঁক একটু বেশি বলেই খবর। এ দিন সকালে বেশ ভাল বাজারও নাকি হয়েছে থানার তরফে।
এই মুহূর্তে খুনের চেষ্টার মামলায় দুবরাজপুর থানার হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর বীরভূমের কেষ্টদা যে একনিষ্ঠ কালী-ভক্ত, তা সকলেরই জানা। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রতের কালীপুজোর নামই হয়ে গিয়েছে ‘কেষ্টকালী’। ফলে, এ দিন কালীপুজোর জন্য দুবরাজপুর থানার ‘বিশেষ’ আয়োজন অনুব্রতের জন্যই কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বাড়িতে থাকার সময় তো বটেই, আসাসসোল জেল হেফাজতে থাকার সময়ও নিয়মিত পুজোপাঠ করেছেন এই তৃণমূল নেতা। দুবরাজপুর থানার হেফাজতে থেকেও তার অন্যথা হওয়ার কথা নয় বলে জানাচ্ছেন একাধিক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা।
এ দিন দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তাঁর শরীর খারাপ বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কেষ্ট। তবে কালীপুজোর সময় নিষ্ঠাভরে তার সাক্ষী থাকতে চান তিনি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। এক পুলিশ কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘কালীপুজোর সময় থানায় ধুমধাম করে পুজো হয়-ই। এ ছাড়া, প্রতি অমাবস্যার রাতেই নিময় মেনে পুজো হয়। তারপর খাওয়া দাওয়া। এ বারও সেটা হবে। তার মধ্য অন্য কিছু খুঁজতে যাওয়ার মানে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy