E-Paper

নথিপত্র-সহ আজ হাজিরা জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়ার

জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর পিসি মায়া সাহার বেআইনি আর্থিক লেনদেন আছে, এমন একটি অভিযোগের তদন্তে সোমবার সাতসকালে সাঁইথিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মায়ার বাড়িতে হানা দেয় ইডি।

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৩
সাঁইথিয়ার পুরপ্রতিনিধি মায়া সাহার এই বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।

সাঁইথিয়ার পুরপ্রতিনিধি মায়া সাহার এই বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে যে দিন অভিযান চালায় ইডি, সেই একই দিনে ইডি-র আর একটি দল হানা দিয়েছিল বিধায়কের পিসি মায়া সাহার বাড়িতে। আজ, বৃহস্পতিবার ইডির তলবে সাড়া দিয়ে কলকাতায় যাবেন তৃণমূলের পুর-প্রতিনিধি মায়া ও তাঁর স্বামী সুব্রত সাহা। তার আগে বুধবার দিনভর ব্যাঙ্কে ঘুরে নথি সংগ্রহ করেছেন সাঁইথিয়ার এই দম্পতি।

জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর পিসি মায়া সাহার বেআইনি আর্থিক লেনদেন আছে, এমন একটি অভিযোগের তদন্তে সোমবার সাতসকালে সাঁইথিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মায়ার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, ওই ওয়ার্ডেরই পুর-প্রতিনিধি মায়া ও তাঁর স্বামীর সম্পত্তি ও আয়ের উৎস সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চান আধিকারিকেরা। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করেন তাঁরা৷ সম্পত্তি ও আয়ের প্রমাণস্বরূপ আরও একগুচ্ছ নথি নিয়ে বৃহস্পতিবার মায়াকে কলকাতার বিধাননগরে, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে বাড়ি ছাড়ে ইডি।

জীবনকৃষ্ণ ও মায়ার বেআইনি আর্থিক লেনদেন রয়েছে অভিযানের দিন থেকে অভিযোগ করছেন ধৃত বিধায়কের বাবা ও মায়ার দাদা বিশ্বনাথ সাহা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মায়া। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানান। তাই হাজিরার আগে যে যে ব্যাঙ্কে মায়া ও সুব্রতর একক বা যৌথ অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলির ‘স্টেটমেন্ট’ বুধবার সংগ্রহ করেছেন ওই দম্পতি। পৈতৃক সম্পত্তির প্রমাণ, ব্যক্তিগত সম্পত্তির আয়ের উৎস, ৮ বছর আগে তৈরি করা বিলাসবহুল বাড়ির জন্য নেওয়া ব্যাঙ্ক ঋণের নথির প্রমাণও সংগ্রহ করা হয়েছে।

দম্পতির দাবি, তাঁদের কোনও বেআইনি সম্পত্তি নেই। তাই তদন্তে সহযোগিতা করতেও কোনও বাধা নেই। সুব্রত বলেন, “আমাদের সকাল সাড়ে দশটায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। বুধবার ব্যাঙ্কের নথি সংগ্রহ করতেই সময় চলে যাওয়ায় এ দিন কলকাতা যাওয়া সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে কলকাতা যাব৷ তাই বিধাননগর পৌঁছতে কিছুটা দেরি হবে। আমরা বিষয়টি সে দিনই আধিকারিকদের জানিয়েছিলাম৷’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sainthia Jiban Krishna Saha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy