তারাপীঠে শ্মশানের জায়গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলাধার নির্মাণে আইনানুগ কোনও ত্রুটি নেই বলে জানালেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বুধবার সকালে তারাপীঠ শ্মশানে যান সুভাষ দত্ত। শ্মশানে যে জায়গায় ‘বিতর্কিত’ জলাধার নির্মাণ চলছে তা ঘুরে দেখেন তিনি। এ দিন বীরভূমের জেলাশাসকের সঙ্গেও কথাও বলেন সুভাষ।
উল্লেখ্য, দ্বারকা নদের জল দূষণ মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর তারাপীঠ এলাকার লজ, রেস্তরাঁ, খাবারের দোকানের বর্জ্য ও জল যাতে দ্বারকা নদে না পড়ে সেই জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লাটের কাজ করছে। সেই কাজের মধ্যে তারাপীঠ শ্মশানের বর্জ্য জল ধরে রেখে পরিস্রুত করার জলাধার তৈরির জন্য সম্প্রতি খননের কাজ শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। সেই কাজ শুরু হতেই ‘ভাবাবেগে আঘাত’ আনার অভিযোগে বিজেপি খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। কাজ বন্ধের এক সপ্তাহের মধ্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ফের কাজ শুরু করে। ফের বিজেপি কাজে বাধা দেয়।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ ১০ জন দলীয় নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তাঁরা। গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিস সংলগ্ন এলাকায় তারাপীঠ শ্মশানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজের প্রতিবাদে ধর্না ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয় বিজেপি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে বীরভূম জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত তারাপীঠ ঘুরে জানান, তারাপীঠ শ্মশানে দ্বারকা নদের জল দূষিত মামলায় যে কাজ করা হচ্ছে, সেই কাজ আইনসঙ্গত। তিনি শ্মশানের ১৫-২০ জন সাধুর সঙ্গে কথা বলেন। সাধুরাও সুভাষকে জানিয়ে দেন, দ্বারকা নদের দূষণ মামলায় সরকার সঠিক পদক্ষেপ করেছে।
অন্য দিকে, বুধবার তারাপীঠ শ্মশানের ‘বিতর্কিত’ জায়গা পরিদর্শন করে সুভাষ সেখান থেকেই জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি জানান, শ্মশানের মাটি পরীক্ষা করার জন্য জেলাশাসককে তিনি বলেছেন। সেই সঙ্গে তারাপীঠ শ্মশানের ভিতরে একটি শৌচালয় নির্মাণের জন্য জেলাশাসককে পরামর্শ দেন তিনি। শ্মশান চত্বরে প্লাস্টিক এবং অন্যান্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেন এই পরিবেশকর্মী।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)