Advertisement
E-Paper

আজ খুলছে আনাড়ার কারখানা

টানা একমাস বন্ধ থাকার পরে আজ শনিবার খুলতে চলেছে আনাড়ার রেলের স্লিপার তৈরির কারখানা। কলকাতায় নব মহাকরণে শ্রম দফতরের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে আলোচনার পরে সমাধান সূত্র বেরিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ১৭:০০

টানা একমাস বন্ধ থাকার পরে আজ শনিবার খুলতে চলেছে আনাড়ার রেলের স্লিপার তৈরির কারখানা। কলকাতায় নব মহাকরণে শ্রম দফতরের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে আলোচনার পরে সমাধান সূত্র বেরিয়েছে। কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার অসীম চক্রবর্তী শুক্রবার জানান, শ্রমমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠনরগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

পাড়া থানার আনাড়ার পাটিল রেলওয়ে ইনফ্রাস্টাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের রেলের স্লিপার তৈরির ওই কারখানায় স্লিপার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। সেই পরিমাণ স্লিপার তৈরি করতে হলে অতিরিক্ত মজুরির দাবি জানায় এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। একগুচ্ছ দাবি তুলেছিল তারা। উৎপাদনের মাত্রা নিয়ে শ্রমিকদের একাংশের সঙ্গে মালিকপক্ষের মতানৈক্য হওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যদিও মালিকপক্ষের দাবি, ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উৎপাদন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। মজুরি সংক্রান্ত বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৬ মে রাজ্য শ্রম দফতর কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং তৃণমূল ও এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনকে আলোচনায় ডেকেছিল। ওই বৈঠকেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক হয় নব মহাকরণে। উপস্থিত ছিলেন শ্রমমন্ত্রী, অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার মহম্মদ নাসিম, যুগ্ম শ্রম কমিশনার শিবশঙ্কর সেনগুপ্ত। শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে ছিলেন, এসইউসির শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্য, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র পুরুলিয়ার সভাপতি প্রফুল্ল মাহাতো।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, শ্রমিকরা ২৫২টি (৬৩ বেঞ্চ) স্লিপার তৈরির জন্য পূর্ব নির্ধারিত অর্থাৎ ২৮২ টাকা হারেই মজুরি পাবেন। অতিরিক্ত দু’টি বেঞ্চ স্লিপার তৈরির জন্য বাড়তি ১৫৬ টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে। আলোচনার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে নতুন চুক্তি হবে।

এসইউসির শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রবীর মাহাতো বলেন, ‘‘সিদ্ধান্তে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট।” তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রফুল্ল মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই শ্রমিকদের স্বার্থে কারখানা খোলা রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর কথা বলেছিলাম। বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী সেটাই বলেছেন।”

এর আগে এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন তাদের দাবি সনদ পেশ করে সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছিল আঞ্চলিক শ্রম মহাধ্যক্ষ তথা আরএলসির (কেন্দ্র) কাছে। আরএলসি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দেয়, এই সমস্যা কেন্দ্র সরকারের শ্রম দফতরের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য শ্রম দফতরের কাছে আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজ্য শ্রম দফতরে দাবিসনদ পেশ করে এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন।

Factory Railway Sleeper
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy