এক নাবালিকাকে বিয়ে করা এবং বিয়েতে মদত দেওয়ার অভিযোগে জামাই, শ্বশুর ও এক পড়শিকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দা থানার পুলিশ। শুক্রবার জামাইষষ্ঠীর দিনে পুরুলিয়া আদালতের বিচারক তাঁদের তিনজনকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠালেন। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বর বিনোদ অগ্রবাল, কনের বাবা সীতানাথ পরামানিক ও পড়শি বৈদ্যনাথ বাউরিকে গ্রেফতার করেছিল। একই সঙ্গে বিচারক ওই নাবালিকাকে একটি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের দাবি, কেন্দা থানা এলাকায় বুধবার রাতে ১৫ বছরের এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। বর ও কনেপক্ষের কয়েকজনকে থানায় ডেকে আনা হয়। পরে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জেলা চাইল্ড লাইন কেন্দা থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
চাইল্ড লাইনের জেলা কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে চাইল্ড ম্যারেজের ৯ এবং ১০ ধারা দেওয়া হয়েছে। সব কিছু আদালতে প্রমাণিত হলে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তথ্য এবং সাক্ষ্য প্রমাণের উপরে সাজার মেয়াদ নির্ভর করছে।’’
জেলা চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ায় এর আগে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কেন্দা থানার অকড়বাইদ গ্রামের এক নাবালিকার মায়ের সাজা হয়েছে। ওই মামলায় মেয়ের বয়স ছিল ১৩ বছর। স্বামী বিচ্ছিন্না ওই মহিলার বিরুদ্ধে তার মেয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। মায়ের কারাবাস হয়েছে। মেয়েটি এখন হোমে আছে। দীপঙ্করবাবুর দাবি, কেন্দা থানা এলাকার ঘটনায় ধৃত পাত্রের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাত্তারপুর জেলায়। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্যই মেয়ের বাবার কাছে ছিল না। যে লোকটাকে আগে কখনও দেখেননি, তাঁরই সঙ্গে তিনি মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। এই প্রবণতাও ভয়ঙ্কর।