শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলায় হতে চলছে মায়ের চরণ কমলদ্বয় স্থাপন।মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
তারাপীঠের আদলে এ বার কঙ্কালীতলাতেও ভক্তদের সুবিধার্থে দেবীর চরণ স্থাপন হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার ‘কাঞ্চি দেশ উৎসব কমিটি’র উদ্যোগে যজ্ঞ ও মহোৎসবের মাধ্যমে দেবীর চরণ স্থাপন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
কঙ্কালীতলা মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে কঙ্কালী মায়ের প্রতিকৃতি হঠাৎ এক পুরোহিতের গায়ের উপরে পড়ে যায়। প্রতিকৃতির কাঁচ ভেঙে গুরুতর আহত হন বীরেশ্বর চক্রবর্তী নামে ওই পুরোহিত। এমন ঘটনা যাতে আর না-হয়, তার জন্য ওই দিনই কঙ্কলীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও কঙ্কালী মাতা ঠাকুরানি উন্নয়ন ট্রাস্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মায়ের গর্ভগৃহে সিংহাসনের মধ্যেই প্রতিকৃতি রেখে পুজো করা হবে।
সেই মতো ট্রাস্টের আর্থিক সহযোগিতায় সেগুন কাঠ দিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় দেবীর নতুন সিংহাসন। অনন্ত চতুর্দশীর পূর্ণ তিথিতে নতুন সিংহাসনে মাকে অধিষ্ঠিত করা হয়।
ভক্তেরা যাতে কঙ্কালী মায়ের চরণ স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন, তার জন্য কাঞ্চি দেশ উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার বিশেষ তিথিতে দেবীর বেদিতে রুপোর চরণ স্থাপন করা হবে। সেই উপলক্ষে মন্দির চত্বরে বিশেষ পুজার্চনা, হোমযজ্ঞ ও মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দেবীর চরণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে চল্লিশটি হরিনামের দল, কুড়িটি ঢাকির দল, মহিলাদের শঙ্খধ্বনিও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেবীর চরণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে উপস্থিত থাকার কথা জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি সহ অনেকের।
মন্দিরের সেবায়েত অর্ক চৌধুরী, মহাদেব চৌধুরীরা বলেন, “এত দিন ভক্তেরা দেবীকে স্পর্শ করে পুজো দিতেন। কিন্তু, অল্প জায়গা থাকার কারণে অনেকেই দেবীকে স্পর্শ করার সুযোগ পেতেন না। দেবীর চরণ স্থাপন হলে প্রত্যেকে তা স্পর্শ করে পুজো দেওয়ার সুযোগ পারবেন। সহজেই ভক্তেরা তাঁদের মনস্কামনা মায়ের কাছে জানাতে পারবেন।’’ কাঞ্চি দেশ উৎসব কমিটির সম্পাদক তথা কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিদউদ্দিন বলেন, “এ রকম একটি ইচ্ছা ছিল দীর্ঘদিনের। সকলের সহযোগিতায় সেটি পূরণ হওয়ায়, সত্যি ভাল লাগছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy