মহিলা সংরক্ষিত মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি হলেন ফিরদৌসি বেগম। কিছু দিন আগে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির পরে সিপিএমের সদস্যেরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন। সমিতির ‘দখল’ নেয় শাসকদল। সিপিএমের অভিযোগ ছিল, দলীয় সদস্যদের অপহরণ করে, হুমকি দিয়ে শাসকদলের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তৃণমূল নেতারা সে অভিযোগ মানতে চাননি।
গত পঞ্চায়েত ভোটের পরে ২৮ আসনের মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করে বামফ্রন্ট। আদিবাসী গাঁওতা একটি এবং শাসকদল সাতটি আসন পায়। সভাপতি হন সিপিএমের মাধবী বাগদি। গত ১৫ জুন সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে সদর মহকুমাশাসকের কাছে অনাস্থা পত্র জমা দেয় শাসকদল। তাতে সই করেন ৭ তৃণমূল সদস্য ছাড়াও ১০ বাম সদস্য। এঁদেরই এক জন হলেন সিপিএমের টিকিটে জেতা ফিরদৌসি।
৩০ জুন স্থানীয় ব্লকের বৈঠক কক্ষে ভোটাভুটি হয়। তাতে যোগ দেননি অনাস্থার বিপক্ষে থাকা সদস্যেরা। ফলে অনাস্থাকারীরা ১৭-০ ব্যবধানে জিতে যায়। বিডিও সভাপতি নির্বাচিত করতে এক মাস সময় দিয়েছিলেন। তার মধ্যেই সভাপতি নির্বাচন হল।
এ দিন সভাপতি নির্বাচন পর্ব শেষে তৃণমূলের যুগ্ম ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ ও গৌতম মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থেই অধিকাংশ বাম সদস্যেরা অনাস্থা সমর্থন করেছিলেন।’’ তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবার দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ব্লকে সিপিএমের কোনও অস্বিত্ব নেই। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ফিরদৌসিও উন্নয়নের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন একমাত্র ব্রত এলাকার সার্বিক উন্নয়ন।’’
সিপিএম নেতারা অবশ্য গোটা ঘটনায় শাসকদলের দখলদারি মনোভাবের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন। মহম্মদবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রভাস মালের অভিযোগ, ‘‘দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শাসকদল আর বিরোধীদের মানতেই পারছে না। তাই ভয় ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চায়েত শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে চলেছে।’’ এসডিওর প্রতিনিধি মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ জানান, ১৭-০ ভোটে ফিরদৌসি বেগম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সেমিনার। প্রতিবন্ধীদের আইনি অধিকারি বিষয়ে সোমবার একটি সেমিনার হল নলহাটি ১ নম্বর ব্লক অফিসের কমিউনিটি হলে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ‘রামপুরহাট স্প্যাস্টিক অ্যান্ড হ্যান্ডিক্যাপট সোসাইটি’। উপস্থিত ছিলেন জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার নিরূপম সিংহ, নলহাটি ১ বিডিও, সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের নলহাটি ১ ব্লকের প্রকল্প আধিকারিক-সহ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy