অভিযোগ: খাদ্য নিয়ামকের কাছে বিধায়ক নেপাল মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।
রেশনে সরবরাহ করা তারিখ ছাড়া আটার প্যাকেট জেলাশাসক ও জেলা খাদ্য দফতরের দিলেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে সংগ্রহ করা আটার প্যাকেট প্রশাসন ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকের হাতে তুলে দেন।
আটার প্যাকেটে তারিখ না থাকা নিয়ে আগেই বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন নেপালবাবু। এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বিভিন্ন কলে ভাঙানো একাধিক আটার প্যাকেট দেখিয়ে বলেন, ‘‘ভিটামিন যুক্ত বলে দাবি করে এই আটার প্যাকেট রেশনে সরবরাহ করা হয়। এগুলি আমি ঝালদা ও আরও কয়েকটি ব্লক থেকে সংগ্রহ করেছি। কোনওটি গ্রাহকের কাছ থেকে, কোনওটি রেশন দোকন থেকে। কিন্তু প্যাকেটের গায়ে তৈরির তারিখ লেখা নেই। এমনকী মাসের উল্লেখও নেই। অথচ বলা রয়েছে, তৈরির এক মাসের মধ্যে আটা ব্যবহার করে ফেলতে হবে। তাহলে হিসেবটা করা হবে কীসের ভিত্তিতে।’’
নেপালবাবু জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক প্যাকেটের গায়ে আটা তৈরির তারিখ উল্লেখ করতে হয়। সেটা না করে সরকারি বিধি অমান্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আগে দরিদ্র গ্রাহকদের গম দেওয়া হত। গম ভাঙাতে খরচ হয়। সেটা থেকে অব্যাহতি দিতে সরাসরি ভিটামিন যুক্ত আটা সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। যাঁরা আটার প্যাকেট সরবরাহ করছেন তাঁদের ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি রেশন দোকানদারদের কাছ থেকে গ্রাহকদের একাংশ এই আটার প্যাকেট তোলেন না। সেই আটা ঘুর পথে পরে আবার যাঁরা দফতরকে আটা সরবরাহ করেন তাঁদের কাছে পৌঁছে যায়।’’ আটার গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, তৈরির তারিখ, গুণমান ইত্যাদি যাচাই করে দেখার দায়িত্ব যাঁদের তাঁরা সেই ভূমিকা ঠিক ভাবে পালন করছেন না। আজ, বুধবার তিনি ফুড কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘বিধায়কের অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খাদ্য দফতরকে দেখতে বলা হয়েছে। আটার গুণমানও পরীক্ষা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy