Advertisement
১৭ মে ২০২৪

হাতি দেখার উৎসাহ ভাবাচ্ছে বনকর্তাদের

নদীর চরে মানুষের ভিড়ের জন্য অন্যত্র সরতে পারছে না হাতির দল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাঁকুড়া জেলার বনকর্তারা। শনিবারও বিষ্ণুপুরের গোঁসাইপুর গ্রাম থেকে সামান্য দূরে দ্বারকেশ্বর নদের পাড় ধরে জয়পুরের বেলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ঘোরাফেরা করেছে পাঁচটি হাতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:০৫
Share: Save:

নদীর চরে মানুষের ভিড়ের জন্য অন্যত্র সরতে পারছে না হাতির দল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাঁকুড়া জেলার বনকর্তারা। শনিবারও বিষ্ণুপুরের গোঁসাইপুর গ্রাম থেকে সামান্য দূরে দ্বারকেশ্বর নদের পাড় ধরে জয়পুরের বেলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ঘোরাফেরা করেছে পাঁচটি হাতি। এক পাড়ে বেলিয়া ছাড়াও লাগোয়া ক্ষীরাইবনি, বাসানিপাড়া-সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা এখনও ভিড় করে রয়েছেন।

অন্য পাড়ে পানেরডাঙর, প্রকাশ, ছিলিমপুর, হিংজুড়ির বাসিন্দাদের ভিড়। ডিএফও (বিষ্ণুপুর-পাঞ্চেত) অয়ন ঘোষ বলেন, ‘‘ওই এলাকার মানুষজন প্রায়ই হাতির দেখা পান। তবু তাঁদের অতি উৎসাহে আমরা অতিষ্ঠ। পাড় থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য মাইক প্রচার করছি। কেউ শুনছেন না। ফলে দলটিকে জঙ্গলে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছে।’’

তবে বেলিয়ার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ফেলু বাগদি, টুম্পা বাউরিরা বলেন, ‘‘হাতি দেখতে আসিনি। ওরা এ দিকে এলে আমাদের চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। ওপাড়ে পানেরডাঙর হয়ে রাধানগর জঙ্গলে চলে গেলে বাঁচি।’’ উল্টো দিকের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন আবার চান, বেলিয়া হয়ে জয়পুরের জঙ্গলে ফিরুক হাতিরা। এই দুই পাল্টা চাহিদার জেরে হাতির দল নড়তেই পারছে না। বন কর্তারা জানান, চেষ্টা করেও বিষয়টি কিছুতেই বাসিন্দাদের বোঝানো যাচ্ছে না।

জয়পুরের রেঞ্জ অফিসার মনোজ যশ বলেন, ‘‘পানেরডাঙর ইত্যাদি গ্রামগুলি বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের রাধানগর রেঞ্জের মধ্যে পড়ছে। ওপাড় থেকে তাঁরাও চেষ্টা করছেন লোকজনদের সরাতে। আমরাও এপাড়ে নজরদারি চালাচ্ছি।’’ এ দিন সন্ধ্যার খবর অনুযায়ী, চর থেকে উঠে হাতিগুলি আশ্রয় নিয়েছে পানেরডাঙ্গর গ্রামের কাছে কাশবনে। বনকর্মীরা জানান, রাতে যদি মানুষজন সরে যান, ছোট ওই হাতির দলটি রাধানগর জঙ্গলের দিকে চলে যেতে পারে। ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Herd of Elephant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE