তোড়জোড়: নলহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে লাগানো হচ্ছে পতাকা।নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক দলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিমল দাস।
নলহাটি পুরসভা নির্বাচনের রিটার্নি অফিসার ত্তথা রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত নলহাটি পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ছিল। সকাল এগারোটা নাগাদ নলহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক দলের প্রার্থী বিমল দাস মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।’’ তিনি জানান, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে। কোনও ওয়ার্ডেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে না। স্ক্রুটিনিতে ৩ জন প্রার্থী বাদ হয়েছে। বৃহস্পতিবার একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। মোট ৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন
এ বার পুরভোটে।
এদিকে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ঘিরে ফরওয়ার্ড ব্লক দলের জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁদের প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘নলহাটির ইতিহাসে প্রার্থীকে অপহরণ করা একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। বুধবার রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয় বিমল দাস ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল নটার সময় দলীয় কার্যালয় এ আসার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকেই তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ওয়ার্ডের নিজের বাড়িতেও তালাবন্ধ।’’
ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর হাসিবুল রহমান বলেন, ‘‘কে বা কারা প্রার্থীকে অপহরণ করেছে বলে আমাদের সন্দেহ। এ ব্যাপারে নলহাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হবে।’’
১৪ নম্বর এ বার তফসিলি সংরক্ষিত। সেই কারণে সব দলেই প্রার্থী কে হবে এই নিয়ে জটিলতা ছিল। তৃণমূল, বিজেপি সব দল তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বামফ্রন্ট পেয়েছিল। বাম ফ্রন্টের মধ্যে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড শরিকি সমঝোতায় ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের গতবারের জেতা ওয়ার্ড পেয়েছিল। ফরওয়ার্ড ব্লক দলের প্রার্থী বিমল দাস তাঁদের পার্টির সদস্য ছিলেন বলে জানান দীপকবাবু।
এ দিন দুপুর পর্যন্ত বিমল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্য দিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে পুরসভার ৮, ১২, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy