Advertisement
E-Paper

নলি কেটে বালিকাকে খুন কেন্দায়, গ্রেফতার বাবার বন্ধু

বালিকাকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগে তারই বাবার বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে কেন্দা থানার কোনাপাড়া গ্রামের ঘটনা। সেই রাতেই কেন্দার কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত জুরু মাহাতো।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০০:২৪
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

বালিকাকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগে তারই বাবার বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে কেন্দা থানার কোনাপাড়া গ্রামের ঘটনা। সেই রাতেই কেন্দার কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত জুরু মাহাতো। নিহত বালিকা পার্বতী মাহাতোর (৮) ঠাকুমা পানো মাহাতো কেন্দা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। নিজের চোখে জুরুকে খুন করে পালাতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন ওই বৃদ্ধা। পার্বতীর মাকেও বেশ কিছুদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি ওই পরিবারের।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে একটি ঘরে খাটিয়ায় ঠাকুমার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল পার্বতী। ওই ঘরেই অন্য খাটিয়ায় শুয়েছিলেন ঠাকুরদা হৃষিকেশ। পাশের ঘরে পার্বতীর বাবা শশাঙ্ক ও তাঁর ভাই শুয়েছিলেন। পানো বলেন, ‘‘তখন প্রায় দেড়টা বাজে। হঠাৎ নাতনি প্রচণ্ড চিৎকার করে উঠল। কুপি জ্বালানো ছিল। সেই আলোয় দেখতে পাই, জুরু পালিয়ে যাচ্ছে। খাটিয়ায় পড়ে ছটফট করছে মেয়েটা।’’ পানোর চিৎকারে বাড়ির সবাই উঠে পড়েন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মিনিট কু়ড়ির মধ্যে একটি টহলদারি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পার্বতীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

কেন্দা থানারই কল্যাণেশ্বরীতে রবিবার রাতে পাহারায় ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। রাত ৩টে নাগাদ এক যুবককে হেঁটে যেতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারেরাই দেখতে পান, ওই যুবকের হাতে রক্ত লেগে। একটি আঙুল কেটেও গিয়েছে। দ্রুত পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, ওই যুবকই জুরু মাহাতো। পুলিশের দাবি, জেরায় জুরু খুনের কথা স্বীকার করেছেন। খুনে ব্যবহার করা ছোরাও তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের আরও দাবি, তাঁদের জেরার মুখে বছর ছাব্বিশের ওই যুবক জানিয়েছেন, পার্বতীর মায়ের কথাতেই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। রাত ৯টা নাগাদ পাঁচিল টপকে পার্বতীদের বাড়িতে ঢুকে তিনি ছাদে লুকিয়েছিলেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নেমে এসে খুন করে পালান।

পার্বতীর বাবা শশাঙ্ক জানিয়েছেন, প্রায় পনেরো দিন ধরে তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। যদিও তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেননি। তাঁর দাবি, আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। শশাঙ্ক অস্থায়ী নির্মাণকর্মী। কাজের সূত্রে বছরের অনেকটা সময় ভিন রাজ্যে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘কাজ করতে গিয়েই আমার সঙ্গে জুরুর আলাপ। সেই সূত্রে ও কয়েক বার আমার বাড়িতে এসেছে। পরিবারের কার সঙ্গে ওর কেমন আলাপ ছিল, তা নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি। কোনও খটকাও লাগেনি কখনও।’’ কেন জুরু ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সে ব্যাপারে তিনিও অন্ধকারে বলে দাবি করেছেন শশাঙ্ক।

সোমবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে জুরুর ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘খুনের কারণ নিয়ে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলি এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না।’’

Girl Dead Murder খুন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy