ঝড়বৃষ্টির রাতে ছোট ঘরে মেয়ে এবং এক ভাইপোকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন বাবা। তাঁর চোখের সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হল ১২ বছরের মেয়ের। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পচাপাথর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম প্রিয়া গরাই। মঙ্গলবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাবা প্রশান্ত গরাই পেশায় টেম্পোচালক। পচাপাথর গ্রামে অ্যাজবেস্টাসের ছাউনি দেওয়া কাঁচাবাড়িতে স্ত্রী, পুত্র, কন্যাকে নিয়ে বসবাস করেন। সোমবার প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ে এবং ভাইপোকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন প্রশান্ত। ঘরের কাজ করছিলেন স্ত্রী শেফালি গরাই। সঙ্গে ছিল তাঁর পুত্র। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাজ পড়লে তড়িদাহত হয়ে সাময়িক ভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়েন প্রশান্ত। জ্ঞান ফিরলে দেখেন পাশেই বিছানার উপর মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
প্রশান্ত গরাই বলেন, ‘‘আচমকাই বাজের শব্দের সঙ্গে গোটা ঘর আলো হয়ে যায়। লোডশেডিং হয়ে যায়। পরে মেয়ে কথা বলছে না দেখে তড়িঘড়ি গাড়ি ডেকে তাকে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’ প্রশান্তের অভিযোগ, বারবার পাকা বাড়ির আবেদন জানিয়েও আবাস তালিকায় নাম ওঠেনি। তাঁর কথায়, ‘‘পাকা বাড়ি থাকলে এ ভাবে মেয়েকে হারাতে হত না।’’