রামনবমীর পর জেলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানের ছবি ধরা পড়ল হনুমান জয়ন্তীর মিছিলেও। রামনবমীতে দুবরাজপুরে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। শনিবার হনুমান জয়ন্তীতে সেই দৃশ্য ধরা পড়ল সিউড়িতে।
এ দিন সিউড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বারুইপাড়ার ধর্মরাজ মন্দির থেকে শনিবার দুপুরে বের হওয়া মিছিলে ওই ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি মণিদীপা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলকে। যদিও দু’জনেরই দাবি, এই মিছিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আয়োজকদের ডাকেই তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন। হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেসের যে কোনও মানুষই যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করেন কালোসোনা। ‘‘এই মিছিলে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়’’, বক্তব্য মণিদীপার।
হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এ দিন জেলা জুড়ে প্রত্যেকটি হনুমান মন্দিরেই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এ দিন বিকেলে একটি মিছিল আয়োজিত হয় বোলপুরেও। বোলপুরের হাটতলা থেকে আয়োজিত এই মিছিলে স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মী উপস্থিত থাকলেও কোনও রাজনৈতিক পতাকা বা ব্যানার ছিল না। বোলপুরে অন্য মন্দিরের পাশাপাশি দুগ্ধেশ্বর মন্দিরে বড় আকারে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। হনুমানের বিরাট কাটআউট নিয়ে মিছিল আয়োজিত হয় মল্লারপুরে। মদুবরাজপুর শহরে একাধিক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হনুমান মন্দির রয়েছে। সেখানে আয়োজিত পুজোয় রাজনৈতিক রং বাদ দিয়ে সকলেই যোগ দেন। সমস্ত মন্দিরগুলিকে গেরুয়া পতাকা, ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়। খয়রাশোলেও বিভিন্ন মন্দিরে আয়োজিত হয় পুজো।
হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এ দিন লাড্ডুর বিক্রি অনেকটাই বেড়েছিল বলে দাবি মিষ্টি বিক্রেতাদের। সিউড়ির এক মিষ্টি বিক্রেতা আস্তিক দাস বলেন, “প্রতি বছরই হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বেশি সংখ্যায় লাড্ডু বিক্রি হয়। সংখ্যাটা বাড়ছে। নৈবেদ্য হিসাবে সাধারণ মানুষ যেমন লাড্ডু কিনছেন, তেমনই মন্দির কমিটিগুলিও প্রসাদের জন্য আলাদা করে লাড্ডুর অর্ডার দিয়েছিল।’’ অন্য দিনের তুলনায় এ দিন অন্তত পাঁচ গুণ বেশি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)