বাড়ি ভাঙা যাবে না কোনও মতেই। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বোলপুর পুরসভা। বাড়ির গেটে তালাও ঝুলিয়ে দিয়ে এসেছিল পুরসভা। সে সবের তোয়াক্কা না করেই রবিবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শান্তিনিকেতনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি।
‘মানুষের সঙ্গ পেয়ে বেঁচে থাকে বসত-বাড়িটা’— ‘আপনকথা’য় লিখেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তাঁর পুত্র অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এক বিঘা জমির উপরে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘আবাস’। শোনা যায়, অবন ঠাকুর এক-দু’বার এসেওছিলেন বাড়িটিতে। সেই বাড়িকে কেন্দ্র করেই এলাকার নামকরণ হয়েছিল অবনপল্লি। সেই ‘আবাস’ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই হইচই শুরু হয়েছিল বোলপুরে।সেই সময় বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল বোলপুর পুরসভা। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রবিবার সকাল ৯টা থেকে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়।
শান্তিনিকেতনের বহু অধ্যাপক, আশ্রমিক ও স্থানীয়েরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘একজন জাতীয় স্তরের শিল্পীর স্মৃতি রক্ষায় যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তা হলে শান্তিনিকেতনের ভবিষ্যৎ কোথায়?’’ এ বিষয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন ধরেননি।