হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আপেল শেখ নিজস্ব চিত্র।
বড়ঞা থানা এলাকায় তৃণমূল নেতা মোস্তফা শেখ খুনে অন্যতম অভিযুক্তকে বাড়িতে আশ্রয় দিতে গিয়ে গুলির লড়াইয়ে জখম হতে হল বাড়ির কর্তাকে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার শিবপুরের বাসিন্দা সবুর শেখ খুনের মামলায় অভিযুক্ত। শুক্রবার মল্লারপুর থানার বড়তুরি গ্রামে দূর সম্পর্কের আত্মীয় আপেল শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে ধরতে গেলে তিনি পুলিশের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। তখনই একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আপেলের ডান পায়ে লাগে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আপেল বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ সবুর আমার বাড়িতে এসে বলে আশ্রয় নেবে। আমি তাকে নিষেধ করি। কিন্তু সবুর জোর করেই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। তখন সবুর পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালায়। তখনই আমার পায়ে একটা গুলি এসে লাগে।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মোস্তফা শেখ (৩৫)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্ত সবুর পালিয়ে এসে আপেলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy