Advertisement
E-Paper

নিয়ম মেনে কি বিজ্ঞাপন? খোঁজ

ছাদের উপরে লোহা অথবা টিনের উপরে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকলে, তাতে অনেকখানি হাওয়া ধরার আশঙ্কা থাকে। ঝড় হলে সেই বিজ্ঞাপন যে ভেঙে নীচে পড়বে না, সে নিশ্চয়তা কোথায়? 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:২০
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

আড়ে বহরে বাড়ছে মহকুমা সদর মানবাজার। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা সামগ্রীর তত্ত্ব-তালাশ দেওয়া বিজ্ঞাপনের সংখ্যাও। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, বাড়ির ছাদ থেকে বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে যে ভাবে বড় বড় বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, তা আদৌ নিয়মকানুন মেনে হচ্ছে তো? ঝড়ে তা ভেঙে পড়লে নীচে থাকা মানুষের প্রাণহানিও হতে পারে। বিজ্ঞাপনের জন্য কর দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

আগে দোকানের সামনে অথবা রাস্তার পাশে বাঁশের খুঁটি পুঁতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। এখন পাল্লা দিতে বিজ্ঞাপনের আয়তন এবং স্থান বাছাই বড় ভূমিকা নিয়েছে। মানবাজার বাসস্ট্যান্ডে সব মিলিয়ে প্রায় ৮০টি বাসের আনাগোনা রয়েছে। সব থেকে বেশি মানুষের যাতায়াতও এখানেই। সে কারণে ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে মানবাজার বাসস্ট্যান্ড। দিন দিন সেখানে বিজ্ঞাপন বাড়ছে। মানবাজারের পথে-ঘাটেও বড় বড় বিজ্ঞাপন ইদানীং চোখে পড়ছে। অভিযোগ, এগুলির বেশ কয়েকটি নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাসিন্দাদের একাংশের মতে, ফ্লেক্সের ব্যানার হলে তেমন ভয়ের কারণ নেই। ঝড় হলে বড়জোর ছিঁড়ে যেতে পারে। কিন্তু ছাদের উপরে লোহা অথবা টিনের উপরে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকলে, তাতে অনেকখানি হাওয়া ধরার আশঙ্কা থাকে। ঝড় হলে সেই বিজ্ঞাপন যে ভেঙে নীচে পড়বে না, সে নিশ্চয়তা কোথায়?

ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বড় আকারের হোর্ডিং দিতে গেলে কোথায় বসানো হচ্ছে, কত পরিমাণ জায়গা নিচ্ছে, ছাদে বসানো হচ্ছে কি না, দেখা হয়। রাস্তার উপরে হোর্ডিং হলে বিপদের আশঙ্কা কতটা, এসব মাথায় রেখে তা বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। আবার কোনও হোর্ডিং রাতে পথবাতির আলো আড়াল করছে কি না, তাও মাথায় রাখতে হয়।

মানবাজার কিসান মান্ডির ভিতরে একটি হাইমাস্ট আলোর স্তম্ভ রয়েছে। যা চত্বর ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড ঢোকার মুখে মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তার অনেকখানি আলোকিত হয়। কিছু দিন আগে বাসিন্দাদের একাংশ ওই এলাকার আলো আড়ালের জন্য একটি হোর্ডিংকের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। জয়েন্ট বিডিও (মানবাজার ১) অপূর্ব কর্মকার বলেন, ‘‘কিছু হোর্ডিং থেকে পঞ্চায়েত সমিতি টাকা পায়। অনুমতি নেওয়া হয়নি অথচ হোর্ডিং রয়েছে, এমন সন্ধান পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘মানবাজার বাসস্ট্যান্ডে কয়েকটি বড় আকারের হোর্ডিং রয়েছে। তারা পঞ্চায়েত সমিতিকে ওই জায়গার ভাড়া দেন। মাপ অনুযায়ী এবং কত দিন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকবে তার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারিত হয়।’’ তিনি জানান, যাঁরা এই ধরনের হোর্ডিং বসানোর কাজ করেন, সেই রকম কয়েকটি এজেন্সিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নিয়ম মেনে হোর্ডিং বসানো হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হবে।

Hoarding Purulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy