এলাকায় অনুমোদনহীন অটো, ট্রেকার, বাস চলছে। এমনকী, ওই সব যানের যন্ত্রাংশের মানও রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত নয় !
মুরারই এলাকার ওই ছবিকে ঘিরে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হল বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতি। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসনকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। ওই এলাকায় বেআইনি যানবাহনগুলির বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না খোদ পরিবহণ দফতরও। কারণ, দফতরের রামপুরহাট সহকারী আধিকরিক সজল দাসের বক্তব্য, ‘‘সদ্য এসেছি। রামপুরহাট ও বোলপুর— দুই মহকুমার দায়িত্ব সামালানোর জন্য সবটা এখনও দেখে উঠতে পারিনি।” জেলা পরিবহণ দফতরের ঠুঁটো জগন্নাথের হালের মতো ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছে সজলবাবুর পরিবর্তী বক্তব্যে। তিনি জানান, দফতরের রামপুরহাট মহকুমা অফিসে গাড়ি পরীক্ষা করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে কোনও কর্মীই নেই!
বাস মালিক সমিতি সূত্রের খবর, মুরারই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদ থেকে অনুমোদনহীন ওই সব যানবাহন চলাচল করছে। সম্প্রতি বাস মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধেও মুরারই–রঘুনাথগঞ্জ ও মুরারই-কনকপুর রুটে অনুমোদনহীন বাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সমিতির দাবি, রুট পারিমিট ছাড়াই ভুয়ো টাইম টেবিল ব্যবহার করে এবং গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন বদল করে গায়ের জোরে গাড়ি চালাচ্ছেন এক শ্রেণির বাসমালিক। খারাপ যন্ত্রাংশ নিয়েও অনেকে রাস্তায় যান চালাচ্ছেন। গাড়িগুলি মাঝ পথে বিকল হয়ে উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনায় এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যুও হয়েছে। সমিতির সম্পাদক জামারুল ইসলামের ক্ষোভ, ‘‘ওই সব অবৈধ অটো, ট্রেকার, বাস চলাচল করায় মুরারই এলাকার বাস মালিকেরা আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া অবৈধ ওই যানগুলির জন্য বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস। তিনি বলছেন, ‘‘সরকারকে ফাঁকি দিয়ে মুরারইয়ে অবৈধ ভাবে বাস, অটো, ট্রেকার চলাচল করার ঘটনাটি সত্যি হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে কুণ্ঠিত হব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy