বীরভূমে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের কিনারা করল পুলিশ। পাকড়াও মূল অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বীরভূম পুলিশ।
গত শনিবার সদাইপুরের রাধামাধবপুর গ্রামের কাছে একটি নির্জন জঙ্গলে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। জানা যায়, আগের দিন বাবার সঙ্গে দুবরাজপুরে মেলায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। তার পর তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের তরফে থানায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ওই যুবক নিজের অপরাধের কথা কবুল করে নিয়েছেন। ধৃতের বাড়ি রাজনগর থানার এলাকায়। তাঁর সঙ্গে ওই যুবতীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ধৃত বিবাহিত। মনে করা হচ্ছে পরকীয়া সম্পর্কে জটিলতা থেকে ওই যুবতীকে খুন করেছেন এই যুবক।’’ তিনি জানান, অভিযুক্তের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। তাঁর কাছ থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
সোমবার ধৃতকে সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। পাশাপাশি অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।