Advertisement
E-Paper

অভিযোগ হতেই তদন্তে নামল স্বাস্থ্য দফতরও

পেটে আর পায়ে ব্যথার চিকিৎসায় এসে দুই মহিলার চোখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল। শুক্রবার রাতে শান্তিনিকেতন থানায় বোলপুরের সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। পৃথক ভাবে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে তারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:১৪

পেটে আর পায়ে ব্যথার চিকিৎসায় এসে দুই মহিলার চোখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল। শুক্রবার রাতে শান্তিনিকেতন থানায় বোলপুরের সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। পৃথক ভাবে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে তারাও। পাশাপাশি আদিবাসী হওয়ায় ওই দুই মহিলার উপর কোনও নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শনিবার জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার এক সদস্যকে নিয়ে আমরা একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছি। চার সদস্যের ওই দল গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। তদন্তের রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনা হল, মঙ্গলবার বোলপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন ইলামবাজার থানার গোপালনগরের বাসিন্দা পাকু সরেন এবং চম্পা বাস্কি। তাঁদের অভিযোগ, পেটে ও পায়ে ব্যথার চিকিৎসা করার বদলে জোর করে তাঁদের চোখে অস্ত্রোপচার করে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার স্মার্টকার্ড থেকে চার হাজার করে মোট আট হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। কেন এমনটা করা হয়েছে জানতে চেয়ে, শুক্রবার দুপুরে বোলপুরের ওই নার্সিংহোমে যান দুই মহিলা এবং তাঁদের পরিজেরা। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধর ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তোলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার প্রতিবাদে বোলপুর-ইলামবাজার এবং এনএইচ-২বি রাস্তা কিছু ক্ষণ পথ অবরোধও করেন আদিবাসীরা। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

এ দিন অবশ্য বহু চেষ্টা করেও নার্সিংহোমের মালিক সাদের আলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। নার্সিংহোমে গিয়েও তাঁর দেখা মেলেনি।

স্কুলে জিম। নির্মল বিদ্যালয় অভিযান উপলক্ষে দিনভর নানা অনুষ্ঠান ও বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি একটি মাল্টি জিমের উদ্বোধন হল ময়ূরেশ্বরের বাজিতপুর হাইস্কুলে। যুবকল্যাণ দফতরের অর্থানূকুল্যে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাল্টি জিমটি তৈরি হয়েছে। এ দিন স্কুল চত্বরের পাশাপাশি বাড়িতে লাগানোর জন্যও ৭৫০ জন পড়ুয়াকে ১ টি করে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ রায়, বিডিও সুশান্ত কুমার বসু, অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শক সমর সাহা এবং অরিন্দম মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে গাছ লাগানোর আগ্রহ সৃষ্টি করতেই তাঁদের চারা দেওয়া হয়েছে। কি করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে, দেওয়া হয়েছে সেই পরামর্শও।’’

Health department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy