ঝিলিমিলি বাঁকুড়ার একেবারে প্রান্তে
দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের শেষ সীমানা রানিবাঁধ ব্লকের ঝিলিমিলি। নানা দরকারে এলাকার মানুষজন ষাট কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরে যান। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় তাঁদের হয়রান হতে হয় বলে অভিযোগ। ঝিলিমিলি থেকে ছেন্দাপাথর হয়ে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার দাবি উঠেছে।
ঝিলিমিলি বাঁকুড়ার একেবারে প্রান্তে। জেলা সদরে যেতে হলে পাড়ি দিতে হয় প্রায় আশি কিলোমিটার রাস্তা। এ দিকে, চার-পাঁচ কিলোমিটার গেলেই পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম সীমানা। ১৫ কিলোমিটার গেলেই পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড। ঝিলিমিলি থেকে টাটানগরের দূরত্বে কম-বেশি পঁয়ষট্টি কিলোমিটার। সে দিক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা সদর বেশ কিছুটা কাছে হয়। প্রশাসনিক দরকার ছাড়া, অন্য অধিকাংশ প্রয়োজনেই ঝিলিমিলির অনেকে সেখানেই যান।
ঝিলিমিলির বাসিন্দা সমরেশ মণ্ডল ও কমলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘কেনাকাটার জন্য ঝাড়গ্রামেই যাই। বাঁকুড়া সদরে যেতে যা সময় লাগে, তার থেকে তাড়াতাড়ি হয়। যাতায়াতের খরচও কম।’’ মণিহারি দোকানের মালিক তন্ময় দাস ও নিত্যানন্দ মল্লিকের কথায়, ‘‘টাটানগর আর ঝাড়গ্রামের দূরত্ব কাছাকাছি। কিন্তু রাজ্যের সীমানায় চেকপোস্টের ঝামেলা আছে। ব্যবসার জিনিসপত্র আনতে সমস্যা হয়। ঝাড়গ্রাম থেকে আনলে সে ঝঞ্ঝাট নেই।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝিলিমিলি থেকে বেলপাহাড়ি হয়ে পাঁচ-ছ’টি বাস ঝাড়গ্রামে যায়। কোনও সরকারি বাস চলে না। ছেন্দাপাথর হয়ে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার জন্য সরকারি বাসের দাবি তুলেছেন এলাকার বেশ কিছু মানুষজন। তাঁদের দাবি, ওই পথে গেলে দূরত্ব প্রায় দশ কিলোমিটার কম পড়বে। স্থানীয় রাওতোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের শিলাবতী বেসরা বলেন, ‘‘এলাকার সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ উন্নত হলে সবারই সুবিধা হবে। বিষয়টি রানিবাঁধের বিধায়ককে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।’’
রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক তথা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পরিচালন সমিতির সদস্যা জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘ওই এলাকা থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার সরকারি বাসের দাবি মৌখিক ভাবে অনেকে বলেছেন। লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে।’’ দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আগামী বৈঠকে বিষয়টি তোলার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy