পাত্রসায়রের সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলত্যাগীরা বিজেপিতে যাওয়ায় ওই দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মতো লোকজন চলে যাওয়ায় তাঁদের দলের কর্মীরা এককাট্টা হয়েছেন বলে দাবি করলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে রবিবার বেলায় মেজিয়ায়, বিকেলে পাত্রসায়রে সভা করেন কল্যাণ। দু’জায়গাতেই তিনি বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে দলত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব হন। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি দাবি করেন, ‘‘বিজেপিতে নতুন কুঁড়ি ধরেছে। পুরনো বিজেপিরা ঝরে গিয়েছেন। এখন হাইব্রিড বিজেপিদের নিয়ে আপনাদের চলতে হবে।’’ যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি দাবি করেন, ‘‘বিজেপির পুরনো নেতারা নিজের নিজের পদেই রয়েছেন। এ নিয়ে কল্যাণবাবুকে না ভাবলেও চলবে।’’
দলত্যাগীদের সম্পর্কে কল্যাণের কটাক্ষ, ‘‘এখন যাঁরা ‘বিপ্লব’ করছেন, তাঁদের কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেখা যায়নি। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর নামও শোনা যায়নি। নিজেকে তিনি জননেতা বলেন। অথচ একের পর এক ভোটে হেরে তিনি ২০০৬-এ তাঁর বাবার ‘সেফ সিটে’ জিতে এসেছিলেন। তবে শুভেন্দুরা চলে যাওয়ায় আমাদের দল এককাট্টা হয়েছে।’’
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দাবি, ‘‘শুভেন্দুবাবু জননেতা, সেটা মানুষ জানেন। হার নিশ্চিত জেনে কল্যাণবাবু ভুল বকছেন। দলেই তাঁর কথার গুরুত্ব নেই।’’
পাত্রসায়রের বালসী বাল্লেশ্বরতলায় তৃণমূলের সভায় ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অর্চিতা বিদ প্রমুখ। মেজিয়ার নামোমেজিয়ার সভায় শ্যামল সাঁতরা ছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউড়ি প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy