Advertisement
E-Paper

এখনও কোমরজল কঙ্কালীতলায়! ফিরে যাচ্ছেন ভক্তেরা, তবে জল নেমেছে তারাপীঠে, কবে মুক্তি?

বন্ধ রাখা হয়েছে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহ। পুরোহিতেরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের শুরু হবে পূজাপাঠ। কখন জল নামবে মন্দির চত্বরে, আপাতত সে দিকে তাকিয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ভক্তেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৮
জলমগ্ন বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা।

জলমগ্ন বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।

গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির জেরে এখনও জলমগ্ন সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। মন্দিরের চারপাশে এখনও জমে রয়েছে কোমরজল। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও মূল মন্দিরে প্রবেশ করা কার্যত অসম্ভব ছিল। এর জেরে আপাতত পূজাপাঠ বন্ধ রয়েছে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পাশের শিবমন্দিরে আপাতত মায়ের পূজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তদের আশা, জল নামলেই পুনরায় শুরু হবে মায়ের মূল মন্দিরে পূজাপাঠ। সোমবারও প্রায় একবুক জল পেরিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করেছেন পুরোহিতেরা। ভক্তেরাও অনেকেই মন্দির দর্শন করতে এসে এই পরিস্থিতি দেখে ফিরে যান। মন্দিরের বেশির ভাগ অংশই ছিল জলমগ্ন, মূল মন্দিরে প্রবেশেরও কোনও উপায় ছিল না। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুরোহিতদের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের শুরু হবে পূজাপাঠ। কখন জল নামবে মন্দির চত্বরে, আপাতত সে দিকে তাকিয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তেরা।

কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বর।

কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বর। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবার পর্যন্ত একই চিত্র ছিল তারাপীঠে। সেখানে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ঢুকে পড়ে দ্বারকা নদের জল। তবে সোমবার রাত থেকেই জল নেমেছে। আপাতত সেখানে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা।

নিম্নচাপের জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। শুক্র, শনি, রবিবার দিনভর চলেছে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টিতে কোপাই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে রবিবার রাত থেকে কঙ্কালীতলা এলাকায় জল জমতে শুরু করে। জল ঢুকে পড়ে মন্দির চত্বরেও। গোয়ালপাড়া সেতুর উপর দিয়ে বইতে শুরু করে কোপাইয়ের জল। যার জেরে বোলপুর থেকে পাড়ুই যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রূপপুর, কঙ্কালীতলা, সর্পলেহনা আলবাঁধা, কসবা পঞ্চায়েত এলাকার বল্লভপুর, মহুলা, তালতোড়, কঙ্কালীতলা-সহ কোপাই-তীরবর্তী ১০-১২টি গ্রামে। নদী সংলগ্ন ফসলের জমিগুলি প্লাবিত হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। লাভপুরে ভেঙে গিয়েছে পুয়ে নদীর বাঁধ। ইলামবাজারেও মাটির দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। তবে আপাতত বৃষ্টি থামায় বদলাতে পারে পরিস্থিতি। সোমবার এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেছেন জেলাশাসক বিধান রায়।

Kankalitala Shaktipeeth Temple Tarapith Temple Birbhum Kopai River flood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy